কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন

কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেনে কর্মরত প্রায় ৮ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা বরাদ্দ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় খুলে দেয়া ও স্ব-স্ব স্কুলে বার্ষিক মূল্যায়ণ পরীক্ষা নেয়ার সুযোগদানের দাবি করা হয়।

প্রাথমিক শিক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য তুলে ধরে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সাফল্যের ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেনের অবদান প্রায় অর্ধেক। অথচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ স্কুল বন্ধের মধ্যেও সরকারি বেতন পাচ্ছেন আর কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকগণ একই বই পড়িয়ে এবং পিইসি পরীক্ষায় তুলনামূলক ভালো ফলাফল অর্জন করেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা থেকে বঞ্চিত। এই বৈষম্য একটি সফল রাষ্ট্রে চলতে পারে না।

তারা বলেন, বর্তমানে দেশের অফিস-আদালত, মার্কেট, গার্মেন্টস, বাস, ট্রেন, লঞ্চ, পার্ক সর্বত্র লোক সমাগম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। কওমী মাদরাসা খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে সংক্রমণের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার অনুমতি দেয়া হলো। তাহলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিন্ডারগার্টেন স্কুল খুলতে সমস্যা কোথায়?

দেশে এখন করোনা সংক্রমণের মাত্রাও অন্য সময়ের তুলনায় অনেক সহনীয়। তাই ১৭ অক্টোবরের মধ্যে স্কুল খোলার ঘোষণা দিতে হবে। নইলে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আমরা মানববন্ধন, যৌথ স্মারকলিপি প্রদান ও আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।

তারা উল্লেখ করেন, আর্থিক অনটনে পড়ে ইতোমধ্যে ৮ জন শিক্ষক হৃদরোগ, আত্মহত্যাসহ নানা কারণে মারা যান। অধিকাংশ স্কুল ভাড়া বাড়িতে অবস্থিত হওয়ায় ভাড়ার চাপে হাজারো স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকরা মানবেতর জীবন থেকে উত্তরণে কেউ কেউ পেশা পরিবর্তন করছেন। এটা রাষ্ট্রের জন্য অশনি সংকেত।

তারা বলেন, রোহিঙ্গাদের সকল দায়িত্ব গ্রহণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মানবতার জননী আখ্যা পান। আমরা আজ ঘোষণা করছি, তিনি যদি কিন্ডারগার্টেনে কর্মরত ৮ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর পরিবারের সদস্যসহ প্রায় অর্ধকোটি মানুষের দায়িত্ব নেন, তবে আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাখো শিক্ষকের উপস্থিতিতে তাকে শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের কাণ্ডারী হিসেবে ‘আলোকিত বাংলাদেশের জননী’ হিসেবে আখ্যা দিতে চাই।

২১টি সংগঠনের যৌথ প্রয়াসে গঠিত এই জাতীয় কমিটির আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ও নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সদস্য সচিব জিএম জাহাঙ্গীর কবির রানা।

কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আবদুল অদুদের উপস্থাপনায় এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা নুরুজ্জামান কায়েস, উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খন্দকার, বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা জি এম, যুগ্ম আহবায়ক এম এইচ বাদল, লায়ন তাজুল ইসলাম, উপদেষ্টা আহসান সিদ্দিকী, এম এ ছিদ্দিক মিয়া, ফারুক আহমেদ, সদস্য আবদুল হাই, দৌলত দায়েন রাফে রানা, সফিকুল ইসলাম স্বপন, শেখ মিজানুর রহমান, নাজমা বেগম, হারুনুর রশীদ, নিয়াজ আহমেদ, শান্তা ফারজানা, তাকবীর আহমেদ, আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, এম মান্নান মনির ও আলাউদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিআলো/ইসরাত