চলতি বছরের শেষের দিকে মিলতে পারে একাধিক মার্কিন ভ্যাকসিন

চলতি বছরের শেষের দিকে মিলতে পারে একাধিক মার্কিন ভ্যাকসিন

বাংলাদেশের আলো ডেস্ক: মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মর্ডানা এবং ফাইজারের উদ্ভাবিত দুটি করোনা ভ্যাকসিন এই বছরের শেষ নাগাদ ব্যবহার উপযোগী হতে পারে । সোমবার কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে এমনটি জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মডার্না এবং ফাইজার প্রায় ৬০ হাজার মানুষের ওপর তাদের ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এই ধাপের পরীক্ষাতে নিরাপদ প্রমাণিত হলে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে।

মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি মর্ডানা এর আগে কখনোই কোনো ভ্যাকসিন বাজারে আনেনি। করোনা ভ্যাকসিনের জন্য মার্কিন সরকারের একটি তহবিল থেকে প্রায় একশ’ কোটি ডলার বরাদ্দ পেয়েছে মর্ডানা।করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের (এনআইএইচ) সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে মর্ডানা। গত মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে এটি প্রথম মানুষের শরীরে প্রথম প্রবেশ করানো হলে সফলতা পাওয়া যায়।

এদিকে করোনার ভ্যাকসিন কার্যকর হলে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন বিক্রির জন্য মার্কিন সরকারের সঙ্গে দুই বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে ফাইজার।

ভ্যাকসিনগুলোর তৃতীয় ধাপের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরুর ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের পরিচালক ফ্রান্সিস কলিন্স বলেন, একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করে ২০২০ সালের শেষের নাগাদ বিতরণ করতে পারা একটি বিস্তৃত লক্ষ্য, কিন্তু মার্কিন জনগণের কাছে এটাই সঠিক লক্ষ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি জানান, এই পরীক্ষার ফলাফল নভেম্বর, ডিসেম্বর কিংবা তারও আগে পাওয়া যেতে পারে। ছোট আকারে চালানো পরীক্ষাগুলোর ফলাফল দেখার পর থেকে ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা নিয়ে তিনি আর বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন না বলে জানিয়েছেন ফাউচি। চূড়ান্ত ধাপের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের ওপর ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ইনজেকশনের মাধ্যমে দুই ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।

বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত ১৫০টি প্রার্থী করোনার ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ২৪টি ভ্যাকসিন মানুষের ওপর পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।

বিআলো/ইসরাত