জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীতে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির

বিআলো ডেস্ক:আগামী ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। এসব কর্মসূচি বিএনপি ও দলের অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু দলটির কোন কোন সংগঠন কবে কর্মসূচি পালন করবে সেবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহামচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

এরআগে দলটির যুগ্ম মহাসচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক, সদস্য সচিব এবং দলের অঙ্গ- সহযোগি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো উদ্যোগে ১০ দিনব্যাপী এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলন ও যৌথ সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ দলটির অঙ্গ- সহযোগি সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময়ে গত ৯ মে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বৈঠকে আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভানেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য পর্যালোচনা করা হয় এবং এই বক্তব্য প্রত্যাখান করা হয়। বিএনপি মনে করে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তি, সকল মামলা প্রত্যাহার, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, নিরপেক্ষ নির্বচন কমিশন গঠন, সকল দলের অংশগ্রহণ ব্যতিত বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে না। আর নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ইভিএম পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে না।

সরকার কর্তৃক সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি করার ফলে বাজারে ভোজ্য তেলের অস্বাভাবিক দাম এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার জন্য সরকারকে দায়ী করে ফখরুল বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের অনৈতিক ভাবে লাভবান করার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাজারে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরকারের দুর্নীতি ও ভ্রান্তনীতি সংকটকে আরো তীব্র করে তুলেছে। জনজীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি জানান তিনি।

বিএনপি মহাসচিব জানান, বৈঠকে আগামী ১৫ মে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিদের পবিত্র অনুষ্ঠান বৌদ্ধ পূর্ণীমা উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয় এবং আগামী ১৫ মে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান পালন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

বিআলো/শিলি