নেইমারকে ফেরানোর তাগিদ দিয়েছিলেন মেসি

নেইমারকে ফেরানোর তাগিদ দিয়েছিলেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক: বার্সেলোনা ছাড়তে চান যে লিওনেল মেসি! বুরোফ্যাক্সে এক বার্তায় বিশ্ব ফুটবলে বড়সড় এক ভূমিকম্প হয়ে গেল। মেসির সিদ্ধান্ত বদলের নতুন কোনো খবর নিয়ে আসেনি। তাই এক দুঃস্বপ্নের দোলাচলে দুলছে তাঁর ভক্তরাও। চুক্তি জটিলতায় এই দোলাচল হয়তো আরো কদিন থাকবে, সুবাদে তাদের মনেও জেগে থাকবে মেসিকে ধরে রাখার প্রত্যাশা। 

দলের স্বার্থে গত বছর নেইমারকে ফেরানোর তাগিদ দিয়েছিলেন মেসি। কারণ বার্সেলোনা পুরোপুরি মেসিনির্ভর হয়ে পড়েছিল। তিনি ভালো খেললেই দল জেতে, নইলে নয়। 

সত্যি বললে, জাভি-ইনিয়েস্তার বিদায়ের পর বার্সার ফুটবল দর্শনও খানিকটা হোঁচট খায়। মাঠের খেলার ছন্দঃপতনেই সেটা স্পষ্ট। দর্শনকে এগিয়ে নেওয়ায় মেসির সঙ্গী হতে পারতেন নেইমার। কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ান পিএসজিতে চলে যাওয়ায় সেই যাত্রা ভেস্তে যায়। তাই আবার তাঁকে ফিরিয়ে এনে আর্জেন্টাইন মহাতারকা চেয়েছিলেন দলে আরেকটি নির্ভরতার জায়গা তৈরি করতে। তাতে বার্সা সভাপতি সাড়া দিলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন তিনি নেইমারকে এনে দিতে।

গল্পে খলনায়ক হয়ে হাজির হয়েছেন জোসেফ বার্তোমেউ। ক্লাবের বাইরে সমর্থকরা জড়ো হয়ে বার্সেলোনা প্রেসিডেন্টের মুণ্ডপাত করছেন, পদত্যাগ দাবি করছেন। সমর্থকরাও ঠিক বুঝতে পারছেন গণ্ডগোলটা কোথায়। চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮-২ গোলে হারের পরও হতাশ মেসি ক্লাব ছাড়ার কথা ভাবেননি। হয়তো আশায় ছিলেন। নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যানের সঙ্গে সভার পর যেন চূড়ান্ত হতাশ হয়ে আর্জেন্টাইন তারকা মরিয়া হয়ে ওঠেন প্রাণের বার্সা ছাড়তে। সভায় কোচ কিছু কাঠখোট্টা কথা বলেছেন। 

কোম্যান যেমন বলেছেন, ‘আগের মতো সুযোগ- সুবিধা আর তুমি পাবে না। এখন দলের জন্য তোমাকে ভাবতে হবে এবং করতেও হবে।’ এমন কথা গায়ে লাগার মতোই, বিশেষ করে যিনি নিজের সেরাটা দিয়ে দশটি লা লিগা আর চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়ে রাঙিয়েছেন বার্সেলোনাকে। সভায় আলাপ হয়েছে সুয়ারেস-রাকিতিচসহ দলের অন্যান্যের ভবিষ্যৎ নিয়েও। এসব কথা সংবাদমাধ্যমে দেখেই নাকি ভীষণ রেগে যান মেসি। সব কথা বাইরে চলে এলে ওসব বিষয় নিয়ে আর ভাবনার সুযোগ থাকে না। আর সুযোগটা যেন ইচ্ছা করেই দিতে চায় না ক্লাব ম্যানেজমেন্ট!

বিআলো/শিলি