বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস উদযাপন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম

বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস উদযাপন করলো এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব প্রিম্যাচুরিটি দিবস উপলক্ষ্যে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম, হসপিটাল অডিটোরিয়ামে একটি পেশেন্ট ফোরাম আয়োজন করে।

এ বছর প্রিম্যাচুরিটি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো- জন্মের পরপরই যত দ্রুত সম্ভব অপরিণত নবজাতককে বাবা মায়ের সংস্পর্শে রাখতে হবে। কেএমসি  বা ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার এক্ষেত্রে একটি আদর্শ উপায় হতে পারে। প্রিম্যাচুর নবজাতকের মৃত্যুরোধে কেএমসি এর মাধ্যমে বাচ্চাদের শরীরের তাপমাত্রা বজায় থাকে, রোগ জীবাণুর আক্রমণ কম হয়, শ্বাস প্রশ্বাসের উন্নতি হয় এবং দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি মা-বাবার সাথে শিশুর একটি আত্মিক সম্পর্ক তৈরী হয়।

 

উক্ত পেশেন্ট ফোরাম-এ পেডিয়াট্রিক অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিপার্টমেন্ট এর সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর ডাঃ প্রণব কান্তি মল্লিক প্রিম্যাচুরিটি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।

 

নিওনেটোলজি অ্যান্ড পেডিয়াট্রিকস ডিপার্টমেন্ট এর কনসালটেন্ট ডাঃ দীপিকা দে জানান, সারা বিশ্বে প্রতিবছর ১ কোটি ৫০ লাখ নবজাতক ৩৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম গ্রহণ করে অর্থাৎ প্রতি দশটি শিশুর মধ্যে একটি প্রিম্যাচুর শিশু জন্মায়।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিউমোনিয়ার পর পৃথিবীজুড়ে নবজাতক মৃত্যুর একটি বড় কারণ হলো এই প্রিম্যাচুর বার্থ অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শিশুর জন্ম। একটি প্রিম্যাচুর শিশু জন্ম থেকেই শাসকষ্ট অর্থাৎ আর ডি এস (অপরিণত ফুসফুস), রক্তে জীবাণুর সংক্রমণ বা ইনফেকশন, দুধ হজমে অসুবিধা বা এন. ই. সি সহ আরও নানাবিধ সমস্যায় ভুগে থাকে। যার ফলে অনেক ক্ষেত্রেই এই সব নবজাতকের অকালমৃত্যু হয়।

 

পেশেন্ট ফোরামে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের কনসালটেন্ট ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। অনুষ্ঠানে চিকিৎসা গ্রহণকারী শিশুর মা-বাবারা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।