যুবলীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে পারেনি

যুবলীগ পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিতে পারেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যুবলীগ ছাড়া আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠন পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিয়েছে। জমা পড়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া তালিকাও। তবে সব উপ-কমিটির খসড়া তালিকা এখনও জমা পড়েনি। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯টি সম্পাদকীয় উপ-কমিটির মধ্যে ১২-১৩টির জমা পড়েছে। আজ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে এই কমিটিগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ও দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।


২ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সম্মতি নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দলীয় সভানেত্রীর কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশ দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যেসব জেলা, মহানগর ও সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে তাদের আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। একই দিন আওয়ামী লীগের সব কেন্দ্রীয় উপকমিটির তালিকা জমা দেয়ারও নির্দেশনা দেয়া হয়। কোনোভাবেই যাতে সাহেদের মতো বিতর্কিতরা আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিতে আসতে না পারে সে বিষয়ে সাবধান করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যদি কোনো কমিটিতে বিতর্কিত কাউকে রাখা হয়, তবে এর দায়ভার নিতে হবে ওই কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্য সচিবকে।

 

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র বলেন, কৃষক লীগের খসড়া কমিটি আমরা অনেক আগেই জমা দিয়েছি। সেখানে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, কৃষিতে জাতীয় পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি, দীর্ঘদিন তৃণমূলে কৃষক লীগ করেছেন- এমন নেতাদের রাখা হয়েছে।

 

স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, আমাদের কমিটির তালিকা ইতোমধ্যে জমা দিয়েছি। তালিকায় বিগত কমিটির যারা অ্যাকটিভ নেতা ছিলেন তাদের রাখা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, সোমবার রাতে আমরা পূর্ণাঙ্গ খসড়া কমিটি জমা দিয়েছি। নতুন কমিটিতে আগের কমিটির অন্তত ৭০ শতাংশ পুরনো নেতারা জায়গা পেয়েছেন। পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগের সক্রিয় ও পরীক্ষিত নেতাদের নতুন কমিটির খসড়া তালিকায় রাখা হয়েছে। কমিটিতে কাউন্সিলরদের রাখা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েকজনকে রাখা হয়েছে সদস্য হিসেবে। এ ব্যাপারে নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

 

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ তালিকা আমরা আগেই জমা দিয়েছিলাম। মঙ্গলবার সেই তালিকার আরেকটি কপি দলের দফতরে জমা দিয়েছি।

 

নতুন কমিটিতে আগের কমিটির যারা সক্রিয় নেতা ছিলেন তাদের অনেকেই আছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, যারা মহানগরে রাজনীতি করেছেন তাদের রাখা হয়েছে।

 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগীয় সম্পাদকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা বেশির ভাগ উপকমিটির তালিকা আগেও একবার জমা দিয়েছিলেন। তবে নতুন করে ৩৫ সদস্যের কমিটি করার নির্দেশনা দেয়ায় আবার নতুন করে তালিকা দিতে হচ্ছে। কমিটির আকার ছোট করতে গিয়ে কেউ কেউ বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। কারণ আগের কমিটির অনেক সক্রিয় নেতাকে রাখা যাচ্ছে না।


একই বিষয়ে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা অ্যাকটিভ সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের জায়গা দেয়ার চেষ্টা করছি।