হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়

হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিনিধি : হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সুরক্ষা ফিচার। যা চালু করে আপনি নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবেন। এছাড়াও ব্যাকআপেও এনক্রিপশন আনছে জনপ্রিয় মেসেজিং সার্ভিসটি। স¤প্রতি সুরক্ষার জন্য আরও একটি নতুন ফিচার এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এবার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব লিঙ্ক করতে ফেস আনলক অথবা ফিঙারপ্রিন্ট আনলক প্রয়োজন হবে। এর ফলে আর কেউ আপনার হোয়াটসঅ্যাপ সহজেই হ্যাক করতে পারবেন না। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচতে কী কী করবেন?

ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ : সম্প্রতি এই ফিচার নিয়ে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এর ফলে আপনার পাঠানো যে কোনো মেসেজ ৭ দিন পরে নিজে থেকেই ডিলিট হয়ে যাবে। কীভাবে অন করবেন এই ফিচার?
প্রত্যেক কনট্যাক্টের জন্য আলাদা ভাবে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ ফিচার এনেবেল করতে হবে।
স্টেপ ১। হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করুন।
স্টেপ ২। যে কনট্যাক্টে ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ এনেবেল করবেন সেটি সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৩। ডান দিকে উপরে তিন ডট মেনু সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৪। ভিউ কনট্যাক্ট সিলেক্ট করুন।
স্টেপ ৫। এবার ডিসঅ্যাপিয়ারিং মেসেজ সিলেক্ট করে তা এনেবেল করে দিন।


টু স্টেপ ভেরিফিকেশন : এর মাধ্যমে সুরক্ষার অতিরিক্ত স্তর যোগ করা যাবে। যে কোনো সময় লগ ইন করতে হলে পৃথক পিন দিতে হবে। ফলে আপনার সিম কার্ড চুরি হলেও পিন না জানলে লগ ইন করা যাবে না। ছয় ডিজিটের এই পিন সেট করবেন কীভাবে? দেখে নিন।
স্টেপ ১। হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করুন
স্টেপ ২। হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে যান।
স্টেপ ৩। এখানে অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট করে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন এনেবেল করে দিন।
স্টেপ ৪। এখানে ৬ ডিজিট পিন দিয়ে কনফার্ম করে দিন।
এছাড়াও ফিঙারপ্রিন্ট অথবা ফেস আইডি দিয়ে আইফোন ও অ্যানড্রয়েড গ্রাহকরা অতিরিক্ত স্তর বসাতে পারবেন। এর ফলে প্রত্যেকবার হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করার সময় ফেস আইডি অথবা ফিঙারপ্রিন্ট সেন্সর দিয়ে আনলক করতে হবে।

২।কখনোই শেষ হবে না ফোনের ব্যাটারি!

চীনের রাইজিং স্টার শাওমি ফোনের ব্যাটারিতে বিপ্লব ঘটাতে যাচ্ছে। কোম্পানিটি এমন একটি ব্যাটারি তৈরি করছে যা ফোনের আয়ু বাড়িয়ে দেবে বহুক্ষণ। এই ব্যাটারি ব্যবহৃত হবে আপকামিং মি ১১ আল্টা মডেলের ফোনে। জিএসএম এরিনার প্রতিবেদন বলছে ফোনটিতে শাওমির তৈরি নিজস্ব চিপ থাকবে। ২৯ মার্চ ডিভাইসটি বাজারে আসার কথা রয়েছে। জিএসএম এরিনার প্রতিবেদন আরো বলছে, শাওমি ২৯ মার্চের ইভেন্ট তিন থেকে চারটি ভার্সনে মি ১১ মডেলের ফোন আনবে। এই ফোনের বড় চমক হচ্ছে এতে নতুন ধরনের লিকুইড লেন্স টেকনোলজি ব্যবহৃত হচ্ছে। জানা গেছে, শাওমি তাদের নতুন ফোনে সিলিকন-অক্সিজেন অ্যানোড ব্যাটারি ব্যবহার করবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে আগের চেয়ে কম চার্জ ফুরাবে। ফোনটিতে এমন একটি চিপ ব্যবহার করা হচ্ছে যেটা ফোনটি কম চার্জ খরচ করে দ্রæতগতিতে কাজ করবে। শাওমি তাদের নতুন ফোনের একটি টিজার প্রকাশ করেছে। টিজারে ফোনটির ব্যাটারি ও চিপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শাওমি বলছে, তাদের নতুন প্রযুক্তির ব্যাটারি হবে পাতলা, শক্তিশালী এবং দ্রুতগতির। শাওমি এই প্রযুক্তি ধার করেছে ‘নিউ এনার্জি ভেইকেল’ ধারণা থেকে। তারা ফোনটিতে গ্রাফাইটের পরিবর্তে সিলিকনের ক্ষুদ্র কণা ব্যবহার করছে। যেটা ১০ গুণ বেশি দ্রæতগতিতে ব্যাটারি চার্জ করবে।

৩।মধ্যবিত্তের গাড়ি কেনার স্বপ্নপূরণ করবে মারুতি অল্টো!

মধ্যবিত্তের গাড়ি কেনার স্বপ্নপূরণ করতে মারুতি অল্টো আমূল বদলে নতুন রূপে আসছে। শিগগির অল্টো নেক্সট জেনারেশন রিলিজ হতে পারে। জানা গেছে, মধ্যবিত্তের স্বপ্নপূরণ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে মারুতি কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের শুরুতেই ভারতেই বাজারে আসতে পারে অল্টো নেক্সট জেনারেশন। একই সঙ্গে মারুতি সেলেরিও নেক্সট জেনারেশনও বাজারে আসার কথা রয়েছে। টেস্টিং এর সময় অল্টো নেক্সট জেনারেশন কয়েকবার স্পট করা গিয়েছে। চেহারার রূপ পরিবর্তনের পাশাপাশি থাকছে অনেক ফিচার্স। নেক্সট জেনারেশন অল্টোতে রিভার্স পার্কিং সেন্সর, ড্রাইভার অ্যান্ড কো-ড্রাইভার সিট বেল্ট রিমাইন্ডার, সপিড অ্যালার্ট সিস্টেম, টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, হোল এয়ারব্যাগ, ইলেকট্রনিক ব্রেক ফোর্স ডিসট্রিবিউশন থকতে পারে।

৪।একাধিক নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে টেলিগ্রাম

ক্রমেই জনপ্রিয় হচ্ছে টেলিগ্রাম। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ প্রাইভেসি পলিসিতে পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের পর এই অ্যাপে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে অনেকগুণ। অসংখ্য মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ছেড়ে এই অ্যাপ ব্যবহার শুরু করেছেন। ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে তথ্য সুরক্ষার পাশাপাশি একাধিক নতুন ফিচার এনেছে সংস্থা। এবার আরো পরিবর্তন এনেছে টেলিগ্রাম। চালু হল ভয়েস চ্যাট ২.ঙ। যাতে যে কেউ ভয়েস চ্যাটের সুবিধা পাবে। এক্ষেত্রে কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না। এর আগে এই ধরনের চ্যাটের সুবিধা ক্লাব হাউসে পাওয়া গিয়েছিল। টেলিগ্রামের নতুন এই ফিচারে যে কেউ ভয়েস মেসেজ পাঠাতে পারবে। যে কাউকে পাঠাতে পারবে। এতে কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না। এই ভয়েস চ্যাট ২.ঙ ফিচারের সঙ্গেই আরও কয়েকটি সুবিধে দিচ্ছে এই অ্যাপটি। প্রথমত, কোনো পাবলিক গ্রæপের অ্যাডমিন অনায়াসেই অডিও বেসড চ্যাট শুরু করতে পারেন। কতজনের মধ্যে সেই চ্যাট পৌঁছাতে পারে, তার কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। অর্থাৎ, গ্রুপে যত সদস্যই থাক না কেনো, প্রত্যেকেই সেই ভয়েস চ্যাট শুনতে পাবে। এখানেই শেষ নয়, এই ভয়েস চ্যাটের যে ভয়েস রেকর্ডটি পাঠানো হবে, তা রেকর্ড করা যাবে। যাতে কেউ সেই মেসেজ না শুনতে পেলে বা সেই সময়ে উপস্থিত না থাকলেও সেই মেসেজ পেতে পারে। এক্ষেত্রে সেভড মেসেজের অপশন পাওয়া যাবে। সেভ করলেই তা থেকে যাবে। এ ছাড়াও ক্লাবহাউজের মতো রেইজ হ্যান্ড বা হাত তোলার অপশনও রাখা হচ্ছে। যাতে অডিও সংলাপ চলাকালীন কোনো প্রশ্ন থাকলে তা জিজ্ঞাসা করা যায়। এবং যিনি কথা বলছেন, তিনি সহজে ওই ব্যক্তিকে চিনতে পারেন। ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু হওয়ায় এই ভিডিও বা অডিও মিটিংয়ের প্রবণতা বেড়েছে এবং এটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই পরিস্থিতিতে মিটিং লিঙ্কসহ একাধিক জিনিসের সঙ্গে মানুষের নতুন করে পরিচয় হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই টেলিগ্রাম-ও যিনি কথা বলছেন এবং যাদের উদ্দেশে বলছেন, তাদের জন্য আলাদা আলাদা লিঙ্ক তৈরি করার ব্যবস্থা করেছে। এই লিঙ্কগুলো অন্যান্য গ্রæপের সঙ্গেও শেয়ার করা যাবে। এই নতুন ফিচারগুলো ছাড়াও টেলিগ্রাম স¤প্রতি ক্যানসেল ফওয়ার্ডিং মেসেজের অপশন এনেছে। যাতে কোনো ফরওয়ার্ড করা মেসেজ সহজেই ক্যানসেল করা যায়।

৫।সব নেটওয়ার্ক টাওয়ারে রবির ৪.৫জি প্রযুক্তি

দেশের প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে দেশজুড়ে সব নেটওয়ার্ক সাইটে ৪.৫জি প্রযুক্তি স্থাপন করলো শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল সেবাদানকারী কোম্পানি রবি। এ পদক্ষেপ ডিজিটাল সেবায় অগ্রণী ভ‚মিকা ধরে রাখতে রবির দৃঢ় প্রতিশ্রæতিরই প্রতিফলন। মঙ্গলবার রবি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রবির ১৩ হাজার ৪০০ নেটওয়ার্ক সাইটই এখন ৪.৫জি প্রযুক্তিসম্পন্ন। স্পেকট্রামের উদ্ভাবনী ব্যবহারের মাধ্যমে দেশজুড়ে সবচেয়ে বিস্তৃত ৪.৫জি কভারেজ দিচ্ছে রবি। এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবির ৭০ শতাংশ সক্রিয় গ্রাহক ডাটা সেবা নিচ্ছে। রবির নেটওয়ার্কে ৪.৫জি সেবা উপযোগী হ্যান্ডসেট রয়েছে ৫০ দশমিক ৬ শতাংশ এবং এই গ্রাহকরা প্রতি মাসে প্রায় ৬ জিবি ৪.৫জি ডাটা ব্যবহার করছেন। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে রবির ৪.৫জি গ্রাহক সংখ্যা এবং ডাটা ব্যাবহারের পরিমাণ যথাক্রমে ৭৩ ও ১৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাটা ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমশ বাড়লেও ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে রবির ডাটার মূল্য ২৫ শতাংশ কমেছে। এ পদক্ষেপকে একটি মাইলফলকে অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই অর্জন অগ্রসর ৪.৫জি প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের জীবনে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়া আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রæতিরই প্রতিফলন। আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি, বছরজুড়ে আরও ২ হাজার ৫০০ এর বেশি সাইট স্থাপন করবে রবি। আমরা এখন সর্বস্তরের মানুষের কাছে উদ্ভাবনী ডিজিটাল জীবনধারা পৌঁছে দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের সবচেয়ে বিস্তৃত ৪.৫জি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতার সুফল নিযে বিদ্যমান সকল স্পেকট্রাম ব্যান্ডে ৯০০ মেগাহার্জ, ১৮০০ মেগাহার্জ এবং ২১০০ মেগাহার্জ ৪.৫জি প্রযুক্তির সুবিধা কাজে লাগিয়েছে রবি। দেশের মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পের সবচেয়ে বড় স্পেকট্রাম শেয়ারিং নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে অপারেটরটি। ফলে স্পেকট্রামের ওপর বাড়তি চাপ পড়লেও দ্রুত গতির ইন্টারনেট এবং উন্নত মানের ভয়েস সেবা উপভোগ করতে পারেন গ্রাহকরা। নেটওয়ার্ক ডাটা ট্র্যাফিক প্রোফাইল অনুসারে, অভ্যন্তরীণ স্থানে মানসম্মত ডাটা ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কম ব্র্যান্ডের স্পেকট্রাম। তাই ৯০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে অত্যাধুনিক এল৯০০ প্রযুক্তি স্থাপন করে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে ডাটা পপুলেশন কভারেজ ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে রবি। এরফলে ১৮০০ ও ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের ৪.৫জি সেবার মানও আশানুরূপ হয়েছে।


৬।সবার জন্য ডেস্কটপ পিসি

ডেস্কটপ পিসি বর্তমান সময়ে এমন একটি ডিভাইস যা ছোট-বড় সব কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে বড় বড় অফিসের কাজ করতে প্রয়োজন হয় ডেস্কটপ পিসির।
সব কাজের জন্য একই ধরনের ডেস্কটপ পিসি ব্যবহার করা যায় না। এটি নির্ভর কাজের ধরনের উপরে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যারা অনলাইনে ক্লাস করবে তাদের জন্য আলাদা ও যারা গ্রাফিক্সের কাজ করেবেন তাদের জন্য ভিন্ন ধরনের ডেস্কটপ পিসির প্রয়োজন হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন কাজের জন্য কোন ধরনের ডেস্কটপ পিসির প্রয়োজন হবে: ১. অনলাইন ক্লাসের জন্য: অনলাইন ক্লাসের জন্য খুব ভালো মানের ডেস্কটপ পিসির প্রয়োজন হয় না। অল্প দামের ডেস্কটপ দিয়ে অনলাইনের ক্লাস খুব ভালোভাবে করা যাবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে ফাইল সংরক্ষণ করে রাখার জন্য হার্ডডিস্ক, ২ থেকে ৪ জিবি র‌্যাম, মাঝারি একটি মনিটর ও একটি ওয়েব ক্যামেরা। এসব কিছু মিলিয়ে বর্তমানে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে অনলাইনের জন্য একটি ভালো মানের পিসি পাওয়া যাবে। ২. গ্রাফিক্সের কাজের জন্য: অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য বা গ্রাফিক্সের কাজের জন্য দরকার একটি ভালো মানের ডেস্কটপ পিসি। এর জন্য যেসব কনফিগারেশন থাকতে হবে পিসিতে তা হলো- একটি গ্রাফিক্স কার্ড, ৮ জিবি র‌্যাম, সর্বনিম্ন ২৪০ জিবি এসএসডি কার্ড, ১ টিবি হার্ডডিস্ক, ফুল এইচডি ডিসপ্লের মনিটর ও পিসি গরম না হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কুলিং ফ্যান। এসব কনফিগারেশনের জন্য পিসির দাম কিছুটা বেশি হলেও কাজ করতে কোনো প্রকারের ঝামেলা হবে না। ৩. অফিসের কাজের জন্য: অফিসের কাজের জন্য উচ্চ কনফিগারেশনের পিসির প্রয়োজন পড়ে না। এর জন্য মাঝারি কনফিগারেশনের পিসিই যথেষ্ঠ। মাঝারি কনফিগারেশনের ডেস্কটপ পিসি কিনলে দামও তেমন বেশি লাগে না। এর জন্য ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে অফিসের জন্য ভালো ডেস্কটপ পিসি পাওয়া যাবে।  ৪. গেমিং পিসি: বর্তমান সময়ে পিসিতে গেম খেলা অনেকেরই শখ। পিসিতে গেম খেলার জন্য ডেস্কটপ বিল্ড করতে বা কিনলে হলে অবশ্যই উচ্চ কনফিগারেশনের পিসি বিল্ড করতে হবে বা কিনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে গ্রাফিক্স কার্ড, ৬ থেকে ৮ জিবির র‌্যাম, এসএসডি কার্ড, হার্ডডিস্ক, ফুল এইচডি ডিসপ্লের বড় মনিটর। যেহেতু পিসির উপরে অনেক চাপ পড়ে তাই পিসি গরম না হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কুলিং ফ্যান। ৫. ব্যবসায়িক কাজের জন্য: বর্তমান সময়ে প্রায় ছোট-বড় প্রায় সব প্রকার ব্যবসায়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে কম্পিউটারের। কম্পিউটার ছাড়া যেন ব্যবসায়ের কাজ অসম্পূর্ণ। তাই ব্যবসায়ের জন্য ডেস্কটপ পিসি নির্বাচন করতে হলে ব্যবসায়ের ধরণ ও লক্ষ্য স্থির রেখে নির্বাচন করতে হয়। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের জন্য অল্প বা মাঝারি বাজেটের নির্বাচন করুন। বড় ব্যবসা বা বেশি কাজের জন্য হলে মাঝারির চেয়ে একটু বেশি দামের ডেস্কটপ পিসি হলেই যথেষ্ঠ। সব প্রকার কাজের জন্য ডেস্কটপ পিসির দাম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও কনফিগারেশন জেনে নিতে পারবেন অনলাইন ওয়েবসাইট বিডিস্টল.কম থেকে।

৭ ।ঘণ্টায় ২১২ কিলোমিটার চলবে রয়্যাল এনফিল্ড

রয়্যাল এনফিল্ড বাইকের টেকসইয়ের কথা নিয়ে বেশ সুনাম রয়েছে। বলা হয়ে থাকে একবার কিনলে লাইফটাইম চলবে। রাস্তা যেমনই হোক, রয়্যাল এনফিল্ড-এর ছুটতে খুব একটা সমস্যা হয় না। পাহাড়ি রাস্তা থেকে শুরু করে গ্রামের মেঠোপথ, সব জায়গাতেই সাবলীল ভারতীয় এই মোটরসাইকেল। তবে আস্তে চলা নিয়ে রয়্যাল এনফিল্ড-এর একটা সমালোচনাও ছিল। এবার সেই চলে গেল। যদিও এই সংস্থার মোটরসাইকেলের প্রত্যেক মডেলের আলাদা কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। ফলে জনপ্রিয়তায় কখনো ভাটা পড়েনি। এমন কান্ড রেকর্ড হয়ে থাকল। অস্ট্রেলিয়ার লেক গার্ডেনে স্পিড উইক রান- ইভেন্টের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই ইন্টারসেপ্টর ৬৫০ ২১২.৫১ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছুটল। এর আগে ২০১৬ সালে রয়্যাল এনফিল্ড-এর এই মডেল ১৯৫.০৬ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ছুটে রেকর্ড গড়েছিল। কিন্তু এবার সেই রেকর্ড ভাঙল। স্পিড উইক রান-এ ইন্টারসেপ্টর ৬৫০ চালাচ্ছিলেন চার্লি হলাম। এই ইভেন্টে মোটরসাইকেলের সামান্য কিছু মডিফিকেশন করেছিলেন চালক। কমার্শিয়াল আনলেডেড ফুয়েল ব্যবহার করেছিলেন। তবে ইঞ্জিনে কোনো রকম মডিফিকেশন করা হয়নি। সংস্থার তরফ এই মডেলে ৬৪৮ সিসি প্যারালাল টুইন এয়ার কুল ইঞ্জিন দেয়া হয়েছিল। ৪৭.৪৫ পিএস পাওয়ার। ৫২ এমএম টর্ক জেনারেট করে ইঞ্জিন। রয়েছে সিক্স স্পিড ট্রান্সমিশন গিয়ার বক্স। ২০১৮ সালে এই মডেল লঞ্চ করেছিল রয়্যাল এনফিল্ড। ভারত ছাড়াও ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে রয়্যাল এনফিল্ড-এর এই মডেল বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

বি আলো / মুন্নী