করোনার কারণে গণমাধ্যম বিরাট অর্থনৈতিক ও অস্তিত্বের সংকটে : ইকবাল সোবহান চৌধুরী

করোনার কারণে গণমাধ্যম বিরাট অর্থনৈতিক  ও অস্তিত্বের সংকটে : ইকবাল সোবহান চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যম আজ বিরাট অর্থনৈতিক ও অস্তিত্বের সংকটের মুখে পড়েছে। এই সংকট উত্তরণে সবাইকে  ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের অঙ্গীকার।

৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দি ডেইলী বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোহবান চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ) দিবসটি পালন উপলক্ষে ‘ সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদ ও অধিকার এবং গণমাধ্যমের সংকট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিজেআরএফ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, বিশিষ্ট প্রবাসী সাংবাদিক মাইনুদ্দিন আহমদ, দেশের খ্যাতিমান শিল্পী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য গৌতম অরিন্দম বড়ুয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইফনিটির সাবেক নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিক কুদরত-ই-খোদা, ভারতীয় গণমাধ্যম ইউএনআইয়ের প্রতিনিধি মীর আফরোজ জামান, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা ও প্রকৌশলী কবির হোসেন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস)’র সাধারণ সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, ডেইলি গাজীপুরের সম্পাদক নাসির উদ্দিন বুলবুল, সাংবাদিক নেতা এম এ সালাম শান্ত, মনির হোসেন জীবন, মাফুজা আফরিণ মনি, মঞ্জুরুল হক গাজী প্রমুখ।

তথ্য জনগণের পণ্য’ এবারে প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রেক্ষাপট ও  বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা তুলে ধরে স্বাগত ও মূল বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। 

এতে জনগণকে কোভিড-১৯ মহামারিতে প্রয়াত সাংবাদিকদের প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে আরো বলা হয়, তথ্য জানানোর জন্য অক্লান্তভাবে কষ্টকর ও বিপজ্জনক এবং মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করেন।

বাংলাদেশের বর্তমান গণমাধ্যম পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে ইকবাল সোহবান চৌধুরী আরো বলেন, ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছেন।

তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক গণমাধ্যম কর্মী বেকার হয়ে চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন। বাংলাদেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, করোনাকালে অনেক গণমাধ্যমে কর্মীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিতে হচ্ছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ ও বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন হোক সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার।

বিআলো/ইলিয়াস