খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে লিখিত আবেদন করেছে পরিবার

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে লিখিত আবেদন করেছে পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই বছর যাবত কারাগারে থেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ৭৫ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে চান তার পরিবার। বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সর্বাধুনিক সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে তাকে বিদেশ প্রেরণের নিমিত্তে মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ চেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল(বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে এটাই প্রথম লিখিত আবেদন।

এই আবেদন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে। শামীম ইস্কান্দার আবেদনে বলেছেন, খালেদা জিয়ার দ্রত অবনতিশীল স্বাস্থ্যের পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো অপূরণীয় ক্ষতি এড়াতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বিদেশি হাসপাতালে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন। খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যয় বহন করে এবং তাদের দায়িত্বে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে এই আবেদনে। এই আবেদন বিবেচনা করা হবে বলে আশা করছেন খালেদা জিয়ার পরিবার।


আবেদন প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, মেডিকেল বোর্ড যেন বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে সরকারকে সুপারিশ করে সেজন্য তাদের এই আবেদন। আবেদনে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে চেয়েছি। আর বলেছি যে, উনাকে নি:শর্ত মুক্তি দিতে। কারণ এটা সম্পূর্ণ সাজানো মিথ্যা মামলা। সেজন্য আমরা নি:শর্ত মুক্তি চেয়েছি।

খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে রাজি হবেন কিনা এমন প্রশ্নে সেলিমা ইসলাম বলেন, উনার সম্মতি থাকবে। উনার অবস্থা এতই খারাপ হয়ে গেছে যে, ৫ মিনিটও দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। বাম হাত সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে। ডান হাতেরও খারাপ অবস্থা। তার চোখ দিয়েও অনবরত পানি পড়ছে। পায়ে কোনো সাপোর্ট রাখতে পারছেন না। তার অবস্থা এমন যে কখন কি ঘটে তা বলা যাচ্ছে না। আমরা ভয়াবহ আশঙ্কায় আছি। এই অবস্থায় একটা মানুষতো চিকিৎসার জন্য যেখানেই হোক যেতে চাইবে।’

এদিকে খালেদা জিয়ার আবেদনটি মেডিকেল বোর্ডে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়র উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন, ইতিপূর্বে মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার কোনো সুপারিশ করেনি। উনাদের আবেদন মেডিকেল বোর্ডকে দেব। বোর্ড পরীক্ষা করে কি সাজেশন দেয়, সেটা আমরা পরে জানাব।