ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সমকালের সাংবাদিক ইমন কারাগারে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সমকালের সাংবাদিক ইমন কারাগারে
সমকালে কর্মরত জাকির হোসেন ইমন

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় দৈনিক সমকালে কর্মরত জাকির হোসেন ইমনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। 

এ সময় আসামিপক্ষের তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে জামিন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।  এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মামলার সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক ইমন ওই ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিকের ব্যক্তিগত কিছু তথ্য গণমাধ্যমের একটি ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন। এছাড়াও একই বার্তা ও পেজ লিঙ্ক শতাধিক সাংবাদিককে ইনবক্সে পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলা নং-২৫/তারিখ ২৫/১০/২১।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, তদন্তের স্বার্থে পরবর্তীতে পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। আসামির জামিনের বিরোধিতা করে তিনি মামলার সুষ্ঠু তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে জেল হাজতে আটক রাখার আবেদন জানান। 

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং তদন্তের সহায়ক হিসেবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন। এ ঘটনার সঙ্গে আরো যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা  নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। 

এই অপপ্রচারের বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক নেতারা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক সমিতি (বানাসাস)’র সাধারণ সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাকির হোসেন ইমনের মতো নোংরা মানসিকতা এবং এহেন গর্হিত অপরাধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সর্বোচ্চ সুবিচার প্রার্থনা করেন। 

উল্লেখ্য, গত এক বছর ধরে জাকির হোসেন ইমন ওই নারী সাংবাদিককে নানাভাবে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করে চলছে বলে ভুক্তভোগী জানান। 

বি আলো / মুন্নী