বাবরের আট বছরের কারাদণ্ড

বাবরের আট বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক মো. শহিদুল ইসলআজ মঙ্গলবার এই রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে লুৎফুজ্জামান বাবরকে আদালতে হাজির করা হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ১৩ জানুয়ারি লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য ২০০৭ সালের ৫ জুলাই বাবরকে নোটিশ দেয় দুদক।

পরে বাবর ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১২ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দেন। তদন্তকালে তাঁর গুলশানের একটি ব্যাংকে ৬ কোটি ৭৯ লাখ ৪৯ হাজার ২১৮ টাকার লেনদেনের হিসাব পাওয়া যায়। এই টাকা বাবরের ব্যাংক হিসাবে এসেছিল সিঙ্গাপুর থেকে।

এ বিষয়ে দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করলেও কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৬ জুলাই দুদক বাবরের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট অভিযোগ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সাতজন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

বিএনপি সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড বোমা হামলা মামলায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায়ও লুৎফুজ্জামান বাবর ফাঁসির আসামি। ১৯৯১ সালে নেত্রকোনা থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন লুৎফুজ্জামান বাবর।

বিআলো/শিলি