শ্বেত বলাকায় বরিশাল-ঢাকা রুটের প্রথম ফ্লাইট

শ্বেত বলাকায় বরিশাল-ঢাকা রুটের প্রথম ফ্লাইট

গৌতম কুমার দে বরিশাল  প্রতিনিধি: টানা এক বছর পর বরিশাল বিমানবন্দরে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অবতরণ করলো। এরমধ্য দিয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটে টানা এক বছর পর বরিশালে প্রথম ফ্লাইট চালু করলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আধুনিক ও নতুন বিমান শ্বেত বলাকা ৭২ জন যাত্রী নিয়ে বরিশাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর সেখানে আয়োজিত বরিশাল-ঢাকা রুটে বিমানের ফ্লাইটের এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জহিদ ফারুক। ফিতা কেটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী জহিদ ফারুক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জহিদ ফারুক বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। এ দুটির মহালগ্নে আজ বরিশাল-ঢাকা রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু হওয়ায় আমরা সবাই গর্বিত ও আনন্দিত। প্রথমেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কারণ আজ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই আমরা ২০৩১ সালে বাংলাদেশে উচ্চ মধ্যম আয়ে এবং ২০৪১ সালে সমৃদ্ধশালী দেশের লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আজকের বাংলাদেশকে যে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছে, তার জন্যই বাংলাদেশ বিমানের বহরের সংখ্যা বাড়ছে। একটা সময় দেখেছি বিমান চলাচল করতো কিন্তু যাত্রী ছিল না। কারণ তখন সাধারণ মানুষের আর্থিক সঙ্গতিটা তেমন ছিল না বিধায় লোকজন টিকিট কেটে বিমানে চড়তো না। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধশালী দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছি। ফলে বেসরকারি বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ সংস্থার ফ্লাইট চালু থাকার পরও বরিশাল-ঢাকা রুটে টিকিট পাওয়া যায় না।

তিনি বলেন, বরিশাল তথা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আমরা। অন্যান্য সরকারের সময় এ অঞ্চল অবহেলিত থাকে। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারে আসে তখন এ অঞ্চলের উন্নয়ন হয়। আজ দক্ষিণাঞ্চলে পায়রাবন্দর হচ্ছে, পদ্মাসেতুর কাজ প্রায় শেষের পথে। পদ্মাসেতু থেকে পায়রাবন্দর পর্যন্ত ফোরলেনের রাস্তা হবে, রেললাইন হবে। এগুলো হলে শিল্প-কারখানা স্থাপন বাড়তে থাকবে, মানুষের কর্মসংস্থান হবে, অর্থনৈতিকভাবে তারা আরও স্বাবলম্বী হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছরের মার্চের ২১ তারিখে বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বরিশাল বিভাগের সব জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যাতে বিমানের ফ্লাইট পুনরায় চালু হয় সেজন্য চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ জানাই বিমানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীকে।

অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ বিভাগীয়, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে ৩২ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বাংলাদেশর ফ্লাইটটি বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন বলে জানিয়েছেন জেলার ম্যানেজার সঞ্জয় কুমার কুণ্ডু।

বিআলো/শিলি