স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত সোমবার একটি ভার্চুয়াল আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ অফিসের পরিচালক জামিল আহমেদের সঞ্চালনায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, এফবিসিসিআই’র প্রাক্তন সভাপতি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম. এ. কাসেম। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক।

অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্যের নির্বাহী উপদেষ্টা অধ্যাপক তানভীর আহমেদ খান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আজিম উদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন বেনজীর আহমেদ এবং আজিজ আল কায়সার। নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম.

এ. কাসেম বলেন, এবার স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হল। আমরা উদযাপন করছি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। একইসঙ্গে আমরা উদযাপণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, এটি আমাদের জন্য এক বড় প্রাপ্তি এবং আনন্দের বিষয়। আজ আমরা বঙ্গবন্ধুর অনেক স্বপ্ন পূরণ করে দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়ে এসেছি কিন্তু আমাদের মাঝে এখনও অনেক দুর্নীতিবাজ এবং ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে যারা দেশের অগ্রগতি এর পথে বাধা হয়ে আছে। আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে এসব প্রতিকূলতা প্রতিহার করে একটি সুন্দর দেশ গঠনে একত্রে কাজ করে যেতে হবে। বীর
মুক্তিযোদ্ধা লায়ন বেনজীর আহমেদ বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের তুলে ধরতে হবে আমরা কিভাবে এ দেশ স্বাধীন করলাম যাতে তারা বঙ্গবন্ধুর চেতনা বুকে ধারণ করে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে। আজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে আমি মুক্তিযুদ্ধে নিহিত সকল শহীদ ও বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের নিহীত সকল সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি।

লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক বলেন, আমাদের দেশে নতুন প্রজন্মের মধ্যে স্বাধীনতার ইতিহাসের সঠিক চর্চা হচ্ছে না। আমাদের নতুন প্রজন্ম যদি স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস না জানে তাহলে তারা বিচ্যুত হয়ে পড়বে। এজন্য আমাদের নতুন প্রজন্ম যাতে স্বাধীনতার

সঠিক ইতিহাস জানতে পারে সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এ দেশের স্বাধীনতা লাভ করেছি এবং তার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি, আমাদের দেশ হয়ে উঠেছে অনন্য দেশগুলোর জন্য অনুস্মরণীয় রোল মডেল। কিন্তু কিছু ষড়যন্ত্রকারী আমাদের দেশের অর্জনগুলো নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করে চলছে, আমাদের এসব অপশক্তি প্রতিহত করে সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলার জন্য কাজ করে যেতে হবে। অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, আজ আমরা পার্শ্ববর্তী দেশ গুলোর জন্য অনুস্মরণীয় আদর্শ হয়ে উঠেছি, কিন্তু কিছু ষড়যন্ত্রকারী এবং দুর্নীতিবাজ মানুষ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে। আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে
গৃহীত জিরো টলারেন্স নীতির সাথে একমত পোষণ করে সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশ গঠনে কাজ করে যেতে হবে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. ইসমাইল হোসেন, স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনোমিক্স এর ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং
এন্ড ফিজিক্যাল সায়েন্সেস এর ডিন অধ্যাপক ড. জাবেদ বারী, স্কুল অব হিউম্যানিটিস এন্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস এর ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুর রব খান, স্কুল অব হেলথ এন্ড লাইফ সায়েন্সেস এর ভারপ্রাপ্ত ডিন, অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ রেজা, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এর স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স অফিসের পরিচালক অধ্যাপক ড. গৌর গোবিন্দগোস্বামী, শিক্ষকরা এবং কর্মকর্তারা।

 

বিআলো/শিলি