হেরে গেল নেইমারের পিএসজি

হেরে গেল নেইমারের পিএসজি

স্পোর্টস ডেস্ক: অবশেষে হারের দেখা পেল পিএসজি। লিওনেল মেসি তো পরে যোগ দিয়েছেন, শুরুর দিকে এমনকি নেইমারও ছিলেন না। তবু লিগে প্রথম ৮ ম্যাচেই জয় পেয়েছে পিএসজি।

রবিবার রাতে রেনের বিপক্ষে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে তিনজনই নেমেছিলেন। তবু ২-০ গোলের হার এড়াতে পারেনি দলটি। পিছিয়ে পড়া দলকে উদ্ধারের আশায় মেসি-এমবাপ্পেকে ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে রেখেছেন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। কিন্তু নেইমারের ওপর অত ভরসা রাখতে পারেননি কোচ।

কে জানে সাবেক সতীর্থ এদুয়ার্দ সিসের কথা হয়তো কানে গেছে তাঁর। এত তারকা নিয়েও গত কয়েক বছরে পিএসজির সাফল্য না পাওয়ার কারণ হিসেবে নেইমারকেই দায়ী করেছেন এই সাবেক মিডফিল্ডার। তাঁর ধারণা, নেইমারের ব্যাপারে ভুল করেছে পিএসজি কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহেই মঁপলিয়ের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছিল পিএসজি। সে ম্যাচে মেসি নামেননি। এমবাপ্পে-নেইমার ছিলেন।

তবে সেদিন এমবাপ্পেকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ পচেত্তিনো। এমবাপ্পে উঠে যাওয়ার পরই দ্বিতীয় গোল পেয়েছিল পিএসজি। নেইমারের পাসে ড্রাক্সলারের গোল দেখে সতীর্থ ইদ্রিসা গানা গেয়ের সামনে স্বগতোক্তি করেছিলেন এমবাপ্পে, ‘ওই (প্রকাশ অযোগ্য ভাষা) তো আমাকে এই পাস দিত না।’

মেসি যোগ দেওয়ার আগে দলের সেরা দুই খেলোয়াড় ছিলেন এমবাপ্পে ও নেইমার। সেই দুজনের মধ্যে এমন সম্পর্ক ঝড়ের ইঙ্গিত দেয়। মাঠে কোনো কিছু ঠিকমতো না হলেও ব্যক্তিত্বের সংঘাত দেখা দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পিএসজিতে খেলা ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার সিসের চোখে দায়ী একজনই নেইমার। সিসের চোখে নেইমার হচ্ছেন ‘বখে যাওয়া ছেলে।’

লা পারিসিয়ানকে সিসে বলেছেন, ‘বার্সায় সে একটা কৌশলের অংশ ছিল। তার খেলা অনেক স্বচ্ছ ছিল, যদিও ড্রিবল অনেক বেশি করত। তার কাজ ছিল প্রতিপক্ষের রক্ষণ ভাঙা, একটা ফাঁক বের করা এবং বলটা ‘জেনারেল’ মেসির কাছে দেওয়া। এটা সে এত ভালো করত যে এটাই তার দ্বিতীয় সত্তা হয়ে উঠেছিল। কিন্তু প্যারিসে তার কাছেই সবকিছু তুলে দেওয়া হলো।’

পিএসজিতে নেইমার এসেছিলেনই এ কারণে। তাঁকে ঘিরে একটি দল খেলবে, তিনি হবেন সবকিছুর প্রাণ। মেসির মতোই একটি দলের প্রাণভোমরা হতে চেয়ে অবশ্য সফল হতে পারেননি নেইমার।

সিসের চোখে, এ চিন্তাটাই ভুল ছিল পিএসজির, ‘পিএসজি একটা ভুল করেছে এবং সে যা চায় সেটা করতে দিয়েছে। এবং ওই মুহূর্তেই সে হারিয়ে গেছে। সে অসাধারণ এক খেলোয়াড়, এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই। কিন্তু সে বখে গেছে, সবকিছু নিজের মতো করে।’

বিআলো/শিলি