অস্থির সময়ে গুলিবিদ্ধ উত্তর জয়পুরের কামরুলের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন প্রফেসর কামরুন নাহার হারুন
নিজস্ব প্রতিবেদক: যখন চারদিকে ছাত্র-গণ আন্দোলনে অস্থির ঢাকাসহ সমগ্র দেশ। আন্দোলনকারী দূরের কথা সন্দেহভাজনরাও রেহাই পাচ্ছিলোনা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানী থেকে। জুলাই ’২৪ এর মাঝামাঝি সেই উত্তাল সময়ে পল্টনে গুলিবিদ্ধ হয় কামরুল হাসান (২৮)। যখন পুলিশ-ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও নির্বিচারে গুলি ও অত্যাচারের স্ট্রিম রোলার চালায় তখন ফুঁসে ওঠে সারা দেশ। সাধারণ পরিবারের সন্তান কামরুলও নিজেকে ঠিক রাখতে পারেনি, কারফিউ অমান্য করে ঝাঁপিয়ে পড়ে আন্দোলনে। ১৯ জুলাই পল্টনের ভয়াবহ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছিলো কামরুল। সহয়োগীরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিলেও অর্থাভাবে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাচ্ছিলো না। অন্যদিকে ইন্টারনেট বন্ধ, রাস্তায় কারফিউ; যোগাযোগ ও লেন-দেন বন্ধ প্রায়।
এখন কি চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে এই টগবগে তরুণ? একজন শুভাকাঙ্খীর মাধ্যমে বিষয়টি লক্ষ্মীপুরের ‘মানবিক মানবী’ ভূষিত প্রফেসর কামরুন নাহার হারুনের কানে পৌঁছে যায়। তিনি যেন স্বর্গীয় দূতের মতো অলৌকিক ভাবে কামরুলের চিকিৎসা ও আর্থিক সংকটের সমাধানে আবির্ভূত হন। অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করে সেই দুর্দিনে নগদ টাকা দিয়ে প্রতিনিধি পাঠান এবং সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যায় গুলিবিদ্ধ কামরুল। কামরুল ও তার পরিবার এই মহানুভবতা ও ক্রান্তিকালে ঝুঁকি নিয়ে সাহায্যে এগিয়ে আসার কথা আজীবন মনে রাখবে। উল্লেখ্য কামরুল হাসান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মাগুরী গ্রামের মানিক এর ছেলে। এ ঘটনা পরবর্তীতে অবহিত হয়ে এলাকার সূধীজন প্রফেসর কামরুন নাহার হারুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।