আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতি তদন্তে ইসির কমিটি গঠন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (৯ জুন) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহবুব আলম তালুকদার।
তিনি জানান, একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংস্থাটির একজন যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে গঠিত কমিটি ইতিমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির একজন যুগ্ম-সচিবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি তাদের এনআইডি জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে ইসি বিষয়টি তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
অভিযোগ রয়েছে, নিজেদের নামের পাশাপাশি মা-বাবার নামও বদল করেছেন আজিজ আহমেদের এই দুই ভাই। হারিছ আহমেদ জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট নিয়েছেন ‘মোহাম্মদ হাসান’ নামে, জোসেফ নিয়েছেন ‘তানভীর আহমেদ তানজীল’ নামে। তাদের এনআইডি’র তথ্য পরিবর্তনে আজিজ আহমেদ সুপারিশ করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু এই ধরনের কাজ জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ও পাসপোর্ট অধ্যাদেশ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আজিজ আহমেদের এই দুই ভাই নিজেদের ছবি দিয়ে নতুন নাম আর ভিন্ন ঠিকানা ব্যবহার করে এনআইডি ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। যদিও নিয়ম অনুযায়ী এনআইডি ও পাসপোর্ট করার সময় ব্যক্তিকে সশরীর হাজির থেকে ছবি তুলতে হয়।
আলোচিত হারিছ ও জোসেফ দুটি খুনের মামলায় যথাক্রমে যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। আর তাদের আরেক ভাই আনিস আহমেদ ছিলেন একটি খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ হারিছ ও আনিসের সাজা মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। তার আগে তাদের মা রেনুজা বেগমের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জোসেফের সাজা মাফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। জোসেফ তখন কারাগারে ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের চিফ অব আর্মি স্টাফ ছিলেন জেনারেল আজিজ আহমেদ। এর আগে ২০১২ সাল থেকে চার বছর বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিজিবির নেতৃত্ব দেন।
গত ২১ মে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
বিআলো/শিলি