আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের প্রথম আসামি পুলিশের ডিসি জসিম গ্রেপ্তার
কামাল চৌধুরী: ছাত্র-জনতার গণজাগরণে জুলাই- আগস্টের গণহত্যায় বেপরোয়া হয়ে ওঠা ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার জসিমউদদীন মোল্লাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আজ রংপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর ট্রাইব্যুনাল তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, ট্রাইব্যুনাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করেন। গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারির পর সর্বপ্রথম গ্রেপ্তার হলেন ডিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার জসিমউদদীন মোল্লা। তাকে ডিএমপি থেকে সম্প্রতি পুলিশ হেডকোয়ার্টার রংপুর ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করে। গত দুই দিন আগে জসিমউদদীন মোল্লা রংপুর ডিআইজি কার্যালয়ে যোগদান করেছিলেন। একদিন পরই গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে গ্রেপ্তারি পরওয়ানার পর গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যেতে হলো প্রভাবশালী এই পুলিশ কর্মকর্তাকে।
আরো উল্লেখ্য যে, জসিমউদদীন মোল্লা ডিএমপির সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি), অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি), উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) পদে চাকরি করে আসছিলেন। তিনি এতটাই প্রভাবশালী ছিলেন, তিনি ঘুরেফিরে ডিএমপির মিরপুর ডিভিশনে এসি, এডিসি, ডিসি পদে নিয়োগ নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি তিনি ডিএমপির লালবাগ, তেজগাঁও ডিভিশনেও ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পুনরায় ডিসি মিরপুর হিসেবে মিরপুর ডিভিশনে তৎকালীন ডিএমপির কমিশনার তাকে নিয়োগ দেন। মিরপুরে যোগদান করে প্রশাসনিক রামরাজত্ব কায়েম করেন। জুলাই-আগস্টের ছাত্র- জনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে তার অধীনস্ত মিরপুর মডেল, শাহ আলী, কাফরুল,পল্লবী, দারুলসালাম, রূপনগর এই ৬ থানা এলাকায় তাণ্ডব চালাতে সশরীরে মাঠে নেতৃত্ব দেন।
বিআলো/তুরাগ