আমরা একটি সফল এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাচ্ছি: জামায়াতের আমীর
নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা দুইটা রোডম্যাপ চেয়েছি। একটা সংস্কারের জন্য। সেই রোডম্যাপে নির্দিষ্ট হতে হবে। কি কি সংস্কার করা হবে এবং কত দিনের মধ্যে সংস্কার করা হবে। এই সংস্কারের রোডম্যাপ যদি সফল হয়, তাহলে পরবর্তীতে দেরি না করে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিতে হবে। যদি প্রথমটা সফল না হয় তাহলে দ্বিতীয়টি ব্যর্থ হবে। আমরা কোনো ব্যর্থ নির্বাচন চাচ্ছি না। আমরা এখন একটি সফল এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাচ্ছি। সেই দিক থেকে আমরা দুটো রোডম্যাপের দাবি জানাচ্ছি।
গতকাল শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কক্সবাজারে নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার নির্জনের টাঙ্গাইলের গ্রামের বাড়িতে তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে জামায়াত আমির বলেন, শেখ হাসিনা চলে যাওয়ায় জাতি মুক্তি পেয়েছে। আমি মনে করি তিনি চলে গিয়ে ভালোই করেছেন। কারণ দেশের মানুষ তাকে ভালোবাসে না। যেহেতু দেশের মানুষ ভালোবাসে না সেহেতু জোর করে আবার ক্ষমতায় বসা বুদ্ধিমতীর কাজ হবে বলে মনে করি না। যদি তিনি অপরাধী হয়ে থাকেন তা হলে অবশ্যই তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তাকে কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আইন আমরা হাতে তুলে নেব না। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে রয়েছে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে। কে যড়যন্ত্র করছে, না করছে এটা বড় কথা নয়। জাতি কিন্তু এখন ঐক্যবদ্ধ ও মজবুত। গোটা যুবসমাজের বিরুদ্ধে তারা দাঁড়িয়ে গণহত্যা করেছে। নৈতিক দিক থেকে তারা পরাজিত হয়েছে। এখন তাদেরই মূল্যায়ন করতে হবে যে তারা রাজনীতি করার কোনো অধিকার রাখে কি না।
কক্সবাজারে নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিম সারোয়ার নির্জনের বিষয়টি উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই বাড়িতে এসে তানজিম সম্পর্কে তার মায়ের মুখ থেকে অনেক কথা শুনেছি। তানজীম আল্লাহতায়ালার এক বিশাল নেয়ামত ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মেধাবী ও চঞ্চল ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, দেশের জন্য জীবন দেওয়ার সৌভাগ্য সবার হয় না। তিনি সেনাবাহিনীতে জেনেশুনেই গিয়েছিলেন যে এটা জীবন-মৃত্যুর খেলা এবং এটা দেশ রক্ষার খেলা। আমরা এখানে উনাদেরকে গর্বিত করতে আসিনি, আমরা এসেছি নিজেরা গর্বিত হতে। নিহত তানজিমের পরিবারের সঙ্গে জামায়াত আমির দীর্ঘসময় কথা বলেন।
তার বাবা সারোয়ার জাহান, মা শাহনাজ খান ও বোন তাসনুভা সারোয়ার সূচিকে সঙ্গে নিয়ে দোয়া করেন তিনি। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম খান, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক, জেলা সেক্রেটারি হুমায়ুন কবীর, জেলা সহকারী সেক্রেটারি হোসনী মোবারক বাবুল, শফিকুল ইসলাম খানসহ জেলা জামায়াত এবং ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআলো/তুরাগ