আরও ১৪ লাখ টিকা এ মাসেই বাংলাদেশে পৌঁছাতে চায় জাপান
প্রতিশ্রুতির আরও প্রায় ১৪ লাখ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চলতি মাসের (আগস্ট) মধ্যেই বাংলাদেশে পৌঁছাতে চায় জাপান।মঙ্গলবার বিকালে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে তৃতীয় চালান ঢাকায় পৌঁছানোর পর জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি একথা জানিয়েছেন।
কোভ্যাক্স কর্মসূচি আওতায় জাপান থেকে আরও ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসে পৌঁছেছে।সবমিলিয়ে জাপান থেকে তিন দফায় ১৬ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পেল বাংলাদেশ।
টিকার চালান গ্রহণ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রতিশ্রুত ৩০ লাখ টিকার বাকি চালান চলতি অগাস্ট মাসের মধ্যেই বাংলাদেশে পৌঁছাতে চায় তার দেশ।আমরা বাংলাদেশকে মোট ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেব। আমরা মন দিয়ে চেষ্টা করছি, যাতে বাকিগুলো এ মাসের মধ্যে পৌঁছাতে পারি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যারা এই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলেন, সেই ১৫ লাখ বন্ধুর হাসিমুখ কল্পনা করে আমরা খুব আনন্দিত।এই করোনার দুর্যোগে আমরা আপনাদের সঙ্গে একতাবদ্ধ হয়ে লড়ছি। আমরা সবসময় বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের পাশে আছি।
উল্লেখ্য, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান শুরু করা হয়।৩ কোটি ডোজ কিনতে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছিল সরকার। কিন্তু ক্রয়ের ৭০ লাখ ডোজ এবং এর বাইরে উপহার হিসেবে ৩২ লাখ ডোজ টিকা আসার পর ভারতে করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দেশটি।এতে বাংলাদেশে টিকার সঙ্কট দেখা দেয়।দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া যাচ্ছিল না বহু মানুষকে।গেল রোববার পর্যন্ত এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন ১৫ লাখ ২১ হাজার ৯৪৭ জন। সোমবার থেকে তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।