আরো হলিডে মার্কেট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে: এলজিআরডি মন্ত্রী
সংসদ প্রতিবেদক: রাজধানীতে আরো হলিডে মার্কেট চালু করার পরিকল্পনা আছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিনের করা প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানী ঢাকার ফুটপাতগুলোর যত্রতত্র বাজার/দোকান বন্ধ করে একটি হলিডে মার্কেট নির্ধারণ করে হকারদের পুনর্বাসনের কোনো
উদ্যোগ নেয়া হবে কি না মন্ত্রীর কাছে জানতে চান বাহাউদ্দিন।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ইতোমধ্যে ৫টি স্থানে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে; গুলিস্তান জিপিও সংলগ্ন বায়তুল মোকাররম লিংক রোড; সেগুনবাগিচা বিভাগীয় অফিস সংলগ্ন কার্পেট গলি; মতিঝিল দিলকুশা ইউনুস টাওয়ারের সামনে ও গুলিস্তান নবাবপুর রোড।
তিনি বলেন, রাজধানীতে আরো হলিডে মার্কেট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধু হকার্স মার্কেট, গুলিস্থান ট্রেড সেন্টার, ঢাকা ট্রেড সেন্টার, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার হকার্স মার্কেট, শেরে বাংলা হকার্স মার্কেট, সদরঘাট হকার্স মার্কেট ইত্যাদি মার্কেটে হকারদের দোকান বরাদ্দের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা হয়েছে। এছাড়াও ২৩নম্বর ওয়ার্ডস্থিত বেড়িবাঁধ সেকশন হতে হোসেন উদ্দিন খান ১ম লেন পর্যন্ত সাপ্তাহিক বাজারে হকারগণ নির্বিঘ্নে ব্যবসা করছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ, বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য নিয়ন্ত্রিত ফুটপাতে বিক্রি পদ্ধতি প্রচলন করা হয়েছে। শহরের যে সমস্ত সড়কে ছুটির দিনে যানবাহন চলাচল কম থাকে সে সমস্ত সড়কে নিয়ন্ত্রিত ফুটপাতে বিক্রি পদ্ধতিতে হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। পথচারীদের চলাচলের জন্য রাজধানীর ফুটপাত সবর্দা উন্মুক্ত থাকে কিন্তু কিছু দখলদার বেআইনিভাবে মাঝে মধ্যে ফুটপাত দখল করে নিজ নিজ ব্যবসা পরিচালনা করেন। জনস্বার্থে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্তৃপক্ষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় অবৈধ দখল/ফুটপাত উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহতভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে।
দেশের প্রতিটি উপজেলায় সরকারি পর্যায়ে বড় কবরস্থান নির্মাণের কোনো প্রকল্প চলমান নেই জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগামীতে নতুন ডিপিপি প্রস্তুত করে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বড় কবরস্থান
নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিআলো/শিলি