• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দিলেন ড. ইউনূস 

     dailybangla 
    20th Dec 2024 11:30 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো ডেস্ক: দারিদ্র্য বিমোচনের মহান দায়িত্ব তরুণদেরই বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় মিশরের বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে এ মন্তব্য করেন তিনি।‌

    ইংরেজি ভাষায় ৪০ মিনিটের মোটিভেশনাল বক্তব্যে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জব তথা চাকরি কোনো সুন্দর সমাধান নয়। এটি কখনো ভালো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। বরং ব্যবসাই চমৎকার সিদ্ধান্ত।

    ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের আওতায় কীভাবে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং আপন দেশে টেকসই মানবিক সাহায্যের ব্যবস্থা যায় তা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শুধু বড় বিনিয়োগকারীদের জন্য সীমাবদ্ধ না রেখে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং নতুন সমাধানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে তরুণদের। দারিদ্র্য বিমোচন ও মানুষকে সাহায্য করার এ মহান দায়িত্ব তরুণদেরই বহন করতে হবে।

    আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এরপর তিনি বলেন, আল আজহারের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে আসা আমার জন্য বিশাল সম্মানের। আমি এর আগে‌ মিশরে এসে দূর থেকে আল আজহারকে দেখেছি। আজ এখানে এসে কথা বলার সুযোগ পাওয়া আমার জীবনের এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা।

    বিশ্বব্যাপী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে সেখানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যারা এখানে অধ্যায়ন করেছেন, তাদের জন্য এটি একটি বিরল সুযোগ। এখানকার শিক্ষা আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করবে এবং আপনাদের মানবতার বৃহত্তর কল্যাণে অবদান রাখতে সাহায্য করবে।

    এরপর নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, আমার বাবা আমাদের বলতেন যে, আল আজহার শুধুমাত্র প্রাচ্যের একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়; বরং এটি বিশ্বময় জ্ঞানচর্চার একটি বিশ্বস্ত কেন্দ্র। অতীতকাল থেকেই আমাদের অঞ্চল থেকে শত শত শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জনের জন্য এসেছেন।

    ড. ইউনূস বলেন, আল আজহার ইসলামের মূল শিক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে। এটি আলোক বর্তিক, সহমর্মিতা, সম্প্রীতি, সহনশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তির এক অনন্য দৃষ্টান্ত, যা শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নয়, সমগ্র মানবতার জন্য প্রাসঙ্গিক। এটি বিভিন্ন ইসলামী মতাদর্শের মিলনস্থল। এখানে হানাফি, মালিকি, শাফি এবং হাম্বলি্য মতবাদসহ ইসলামে স্বীকৃত বিভিন্ন ধারার চিন্তাধারা সমানভাবে সমাদৃত। ইসলামের প্রাথমিক যুগে যে মূল্যবোধ মানুষকে আকৃষ্ট করেছিল, আল আজহার এখনও তা ধারণ করে আছে।

    তিনি বলেন, আল আজহার শুধু ধর্মীয় জ্ঞানচর্চার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এটি বিজ্ঞান এবং নৈতিকতার ক্ষেত্রেও মানুষের মধ্যে অনুসন্ধিৎসার অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তোলে।

    বাংলাদেশে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আল আজহারের প্রভাব বাংলাদেশের ইতিহাসে সুদূরপ্রসারী। এই প্রতিষ্ঠানের গ্রাজুয়েট বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা আমাদের দেশে সুফিবাদ প্রসার ঘটিয়েছেন, যা আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। আজও আল আজহারের পণ্ডিতদের মতামত আমাদের দেশে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে বিবেচিত হয় এবং এটি আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    ইসলামী মূল্যবোধের আলোকে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা গঠনের গুরুত্ব তুলে ধরে এরপর ড. ইউনুস বলেন ইসলামের মূল্যবোধ ও নীতির আলোকে এই পৃথিবীতে আমাদের একটি নতুন অবস্থান গ্রহণের সময় এসেছে। বিশ্ববাসীর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্প্রীতি বজায় রেখে আমাদের আবারও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। আমি আশা করি, আল আজহার আমাদের সমাজে সেই প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেবে। এই প্রতিষ্ঠানের জ্ঞান বিজ্ঞান, নৈতিকতার এবং আধ্যাত্মিকতার সর্বজনীন বার্তা শুধু বিশ্বব্যাপী মুসলমানদেরই নয়, বরং সমগ্র মানবতাকেই একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও সুসংগঠিত সভ্যতা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

    তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা এমন একটি সময়ে বাস করছি, যখন মানব প্রচেষ্টা অবশ্যই ন্যায়বিচার, অংশগ্রহণ মূলক একটি ন্যায়সঙ্গত বৈশ্বিক ব্যবস্থার সন্ধানের দিকে নিবদ্ধ হতে হবে। এই ব্যবস্থা মানবিক সহানুভূতির চেতনা সর্বাগ্রে রাখবে, যেখানে প্রতিশোধ, অবিচার এবং সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য কোনো স্থান থাকবে না। আমাদের শিক্ষাবিদ এবং গবেষকদেরকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হবে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বিশ্বজুড়ে জ্ঞানচর্চার সাথে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা অপরিহার্য। আমাদের মানবিক মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, শান্তিপূর্ণ এবং টেকসই বিশ্ব গড়তে একসাথে কাজ করতে হবে।

    অনুষ্ঠান শেষে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে ও মিশরে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংগঠন ইত্তেহাদ এর পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।‌

    এর আগে আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তিনি পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সালামা দাউদ।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    January 2025
    M T W T F S S
     12345
    6789101112
    13141516171819
    20212223242526
    2728293031