ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ভূগর্ভস্থ বাংকারের ওপর হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ স্পিরিট বোমারু বিমান। ১৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
অত্যাধুনিক এই বোমারু বিমানগুলো অনেক দূর থেকে মাটির ওপর ও নিচের লক্ষ্যবস্তুতে বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম। রাডার ফাঁকি দেওয়ার সক্ষমতার জন্য একে ‘স্টেলথ বম্বার’ বলা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালেই এই হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই হামলায় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এবারই প্রথম হুতিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নরথ্রপ বি-২ স্পিরিট মডেলের বিমান ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের শুরু থেকেই হুতিরা লোহিত সাগরে মালবাহী জাহাজের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। হুতিদের দাবি, হামাস ও ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পর্কযুক্ত জাহাজের ওপর এসব হামলা চালায় তারা।
হুতিদের স্যাটেলাইট নিউজ চ্যানেল আল-মাসিরাহ জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানার আশেপাশে বিমান হামলা হয়েছে। ২০১৪ থেকে হুতিদের দখলে আছে সানা।
হামাসের মিত্র ও ইরানের সমর্থনপুষ্ট ইয়েমেনের সশস্ত্র সংগঠনটি আরও জানায়, সাদা শহরে অবস্থিত সুরক্ষিত ঘাঁটিতেও হামলা হয়েছে।
তবে এসব হামলায় কেউ হতাহত হয়েছেন কী না, বা কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কী না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি হুতিরা।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এক বিবৃতিতে জানান, বি-২ বোমারু বিমান ‘ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকার পাঁচটি ভূগর্ভস্থ, সুরক্ষিত অস্ত্রাগারে হামলা চালিয়েছে।’
বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলা হুতিদের মূল পৃষ্ঠপোষক ইরানের প্রতি পরোক্ষ হুশিয়ারি। গত এক বছরে দুই বার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। নাতাঞ্জ ও ফর্দোর মতো জায়গায় ইরানের পরমাণু কাঠামোয় খুব সহজেই হামলা চালাতে সক্ষম এই মার্কিন বিমান। এটাই একমাত্র বোমারু বিমান, যেটি জিবিইউ-৫৭ নামের ১৪ হাজার কেজি ওজনের ‘বাংকার বাস্টার’ বোমা বহন করতে সক্ষম।
নিঃসন্দেহে, ‘ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স পেনিট্রেটর’ নামে পরিচিত এই বোমা ইরানের বেশিরভাগ অবকাঠামো মাটিতে মিশিয়ে দিতে সক্ষম।
বিআলো/শিলি