ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাভেদ জারিফের পদত্যাগের ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিরোধীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইরানের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহম্মদ জাভেদ জারিফ। পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে তিনি প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। খবর আল জাজিরা
বৈশ্বিক ক্ষমতায়নে ইরানকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২০১৫ সালে পশ্চিমাদের সঙ্গে তেহেরানের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সোমবার (৩ মার্চ) তিনি অনলাইনে পোস্টের মাধ্যমে পদত্যাগের কথা জানান। এতে তিনি গত ছয় মাসকে ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ‘সবচেয়ে তিক্ত’ সময় বলে উল্লেখ করেছেন।
জারিফকে নিজের সরকারে কৌশলগতবিষয়ক পরামর্শদাতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। নির্বাচনী প্রচারে পেজেশকিয়ানের পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন জারিফ।
পদত্যাগপত্রে জারিফ লেখেন, ‘জাতীয় স্বার্থ এগিয়ে নিতে ছোটখাটো ভূমিকা রাখায় গত চার দশকে আমি অসংখ্য অপমান ও অভিযোগ সহ্য করেছি। আমার ছোটখাটো অবদানের মধ্যে আরোপিত যুদ্ধের অবসান থেকে শুরু করে সফল পরমাণু চুক্তির কথা উল্লেখ করা যায়। বিরামহীন মিথ্যা ও বক্তব্য বিকৃতির মুখেও দেশের স্বার্থে আমি এত দিন চুপ ছিলাম।’
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন মোহসেনি এজেই তাকে পদত্যাগ করতে ‘উপদেশ’ দিয়েছেন। দেশের চলমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে ‘সরকারের ওপর আরও চাপ তৈরি করা থেকে বিরত থাকতে’ তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যাওয়ার উপদেশ দেন বিভাগীয় প্রধান গোলাম হোসেন।
ইরানের সাবেক শীর্ষ এই কূটনীতিক লেখেন, ‘আশা করছি, আমার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের ইচ্ছা ও সরকারের সফলতার পথে বাধা দূর হবে।’
এদিকে জারিফের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রেসিডেন্টের দপ্তর তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারের ওপর চাপ কমাতে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে।
এর আগে রোববার পার্লামেন্টের এক অনাস্থা ভোটে ইরানের অর্থমন্ত্রী আবদোলনাসের হেম্মতিকে বরখাস্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তার দায়িত্ব পালনকালে দেশটির মুদ্রার মানের রেকর্ড পতন হয়েছে।
বিআলো/শিলি