এবি পার্টির আহ্বায়কের পদত্যাগ
নিজস্ব প্রতিবেদক: আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। এর আগে ২০২০ সালে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি উদারপন্থি অংশের নেতাকর্মীরা মিলে এই দলটি গঠন করেন।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী নিজের ফেসবুকে পদত্যাগের কথা জানান। তিনি লিখেছেন, আমি এবি পার্টির আহ্বায়কের পদ ত্যাগ করেছি।
২০০১ সালে জয়নাল হাজারীর দাপটের যুগে ফেনীর ডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আলোচনায় আসা এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী কী কারণে এবি পার্টি থেকে পদত্যাগ করেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর কোনো ব্যাখ্যাও দেননি তিনি।
তবে এবি পার্টির দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সচিব সোলায়মান চৌধুরীকে সরকারের কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে দলীয় পদ ছেড়ে দিয়েছেন। এর আগে দলের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তাজুল ইসলাম পদত্যাগ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
এছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশের আগে পদত্যাগ করেন নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। পরে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক হন। সম্প্রতি এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকও পদত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। তিনি খুবই অসুস্থ।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ শাসনামলে ব্যাপক দমন-পীড়নের মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির ছেড়ে ২০২০ সালের ২ মে নতুন দল এবি পার্টি গঠন হয়। এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও মুজিবুর রহমান মঞ্জুকে সদস্যসচিব করে এর কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়। সম্প্রতি রাজনৈতিক দল হিসেবে এবি পার্টি নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পেয়েছে।
তখন নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের নম্বর ১০৯১৭/২০২৩ প্রেক্ষিতে গত সোমবারের রায় ও আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে “দি রিপ্রেজেন্টেশন অব দি পিপলস অর্ডার ১৯৭২- এর বিধান অনুযায়ী আমার বাংলাদেশ পার্টিকে (এবি পার্টি) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধন নম্বর-০৫০ ও তাদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রতীক ‘ঈগল’। আজ নির্বাচন কমিশনের এক পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিআলো/শিলি