এমপি শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: খায়রুজ্জামান লিটন
রাজশাহী ব্যুরোঃ রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগর ভবনে মেয়র দপ্তর কক্ষে প্রতিক্রিয়ায় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, গত কিছুদিন আগে বাঘায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল গুরুতর আহত হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং চিকিৎসা নিয়ে তার অবস্থার উন্নতি হয়।
হঠাৎ করে গত (বুধবার) সকালে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। বিকেলে ৪টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মরহুম বাবুল সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা ছিলেন। আমার অনেক স্নেহভাজন ছিলেন। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই তাকে পাশে পেয়েছি। বাবুল যখন ছাত্রনেতা তখন থেকেই। তিনি নিবেদিত প্রাণ আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করার মতো নিন্দনীয়-নৃশংস ঘটনার সঙ্গে আমার কোনভাবে জড়িত থাকার কোন কারণ নেই। কোন সুযোগ নেই। যুক্তিও নেই
মরহুমের জানাজায় আমাকে দায়ী করে সরাসরি আমার নাম ধরে আমার দলীয় পদ উল্লেখ করে আমার পাশাপাশি আমাদের আরেকজন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ সহ আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বাঘা-চারঘাটের বর্তমান এমপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঈর্ষাপরায়ণভাবে এ রকম উক্তি করতে পারেন। সেটা আমার বোধগম্য নয়। জানাজা নামাজের মতো একটি পবিত্র কাজ যেখানে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা হয়। সেখানে এভাবে মামলা করা হবে, মোবাইল কললিস্ট চেক করা হোক, মামলার আসামি করা হবে এই সমস্ত কথা তার কাছ থেকে আমি আশাই করিনি।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও কষ্টকর। বাবুল হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার আমিও চাই। খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগের রক্ত নিয়ে বড় হয়েছি তাদেরকেই এখন হেনস্থা করার অপচেষ্টা করছেন নতুনেরা। রাসিক মেয়র বলেন, বাবুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বুধবার আমি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়েছিলাম। তার সন্তানের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছি। আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে থাকবো ইনশাল্লাহ।
বিআলো/তুরাগ