করোনার চিকিৎসা নিয়ে ফেরার পথে লিফটে মারা গেলেন সাবেক সিভিল সার্জন
করোনার চিকিৎসা শেষে রিলিজ নিয়ে ফেরার সময় হাসপাতালের লিফটে মারা গেছেন সাবেক সিভিল সার্জন ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. এএফএম শফীউদ্দিন পাতা (৬৫)।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকার গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল থেকে করোনা চিকিৎসার রিলিজ নেন। হাসপাতাল থেকে নামার সময় লিফটের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
ডা. পাতা পাংশার বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান দি মেডিকেল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া রাজবাড়ী জেলা বিএমএ ও স্বাচিবের সাধারণ সম্পাদক, পাংশা রোটারি ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবা ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। তার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে পাংশায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
রাজবাড়ী-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আলী বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাছপাড়া ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম (বুড়ো), পাংশা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি দীপক কুমার কুণ্ডু, পাংশা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুল হক ফরহাদ, পাংশা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পাংশা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জালাল বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কামাল আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সরদার (রেজা), সাংবাদিক মোক্তার হোসেন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শোক প্রকাশ করেছেন। নেতারা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।
নেতারা বলেন, ডা. পাতা খ্যাতনামা চিকিৎসক ছিলেন। সৃজনশীল ও রাজনৈতিক দূরদর্শী ব্যক্তি হিসেবে তার সামাজিক সুনাম রয়েছে। তার আকস্মিক মৃত্যুতে পাংশার রাজনৈতিক, সামাজিক ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
রাজবাড়ী সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ডা. এএফএম শফীউদ্দিন পাতা ২৬ জুলাই পাংশা হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষা করান। ওই দিনই তার র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ও আরটি-পিসিআর কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ হয়। এরপর গত ২৮ জুলাই রাজধানী ঢাকার গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
২ আগস্ট তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ হলে মঙ্গলবার দুপুরে ওই হাসপাতাল থেকে তিনি রিলিজ নেন।
ছাড়পত্র নিয়ে দুপুর ২টার দিকে হাসপাতাল থেকে নামার সময় লিফটের মধ্যে আকস্মিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে ঘটনাস্থলেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ডা. পাতার পৈতৃক বাড়ি পাংশা উপজেলার কলিমোহর ইউপির সাঁজুরিয়া গ্রামে। মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ পুত্র, ৩ কন্যা সন্তান, ২ ভাই ও ১ বোনসহ বহু আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।