কাউন্সিলর হত্যা: প্রধান আসামি শাহ আলম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কুমিল্লায় কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নগরীর চাঁনপুরস্থ গোমতী বেড়িবাঁধ এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহ আলম (২৮) নগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের সুজানগর বৌ বাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে।
এদিকে কাউন্সিলর হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী শাহ আলমের মৃত্যুর খবরে এলাকায় স্বস্তি বিরাজ করছে। নিহতের লাশ এলাকায় না আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
কুমিল্লা ডিবি পুলিশের এসআই পরিমল দাস জানান, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে নগরীর চাঁনপুর এলাকায় একদল অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারী অপরাধ প্রবণতা সংঘটিত করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পাওয়া যায়। এর ভিত্তিতে সেখানে জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি) এবং কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। ডিবি ও থানা পুলিশের সদস্যরা নিজেদের জীবন ও জানমাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির একপর্যায়ে কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী পালিয়ে যায়। গুলিবর্ষণ শেষে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ ও হাতে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল হত্যার প্রধান আসামি শাহ আলম বলে শনাক্ত করেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এতে পুলিশের দুজন সদস্য আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি ৭.৬৫ পিস্তল এবং গুলির খোসা এবং কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল আজিম বলেন, পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কাউন্সিলরসহ জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম নিহত হয়েছেন। এতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা ও আক্রমণ, হত্যা এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সংক্রান্তে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, ২২ নভেম্বর বিকালে কাউন্সিলর সোহেল এবং তার সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নবগ্রামের মাদক ব্যবসায়ী শাহ আলমকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আর ১০-১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই সৈয়দ রুমন।