• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড 

     dailybangla 
    25th Mar 2025 4:25 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন বছর আগে রাজধানীর কেরানীগঞ্জে মারিয়া নামে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

    আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন।

    দণ্ডিতরা হলেন- কেরানীগঞ্জ মডেল থানার খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের ছেলে মো. সজিব, ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে মো. রাকিব ও শরীয়তপুরের পালং মডেল থানার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন।

    এছাড়া মরদেহ গুমের ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

    রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম জর্জ বলেন, আসামিদের স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রয় করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

    এদিকে আলী আকবর (২২) ও মো. রিয়াজ (২২) নামে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন। রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ ও শাওনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব ও শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১১ জুন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আঁটিবাজার এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। ডিউটি চলাকালে সকাল পৌনে ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে সংবাদ পায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুরের পানিতে একজনের মরদেহ পানিতে ভাসছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পুলিশ মামলা দায়ের করে।

    এরপর তদন্ত শুরু করে পুলিশ। প্রথমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ভিকটিমের বান্ধবী সাক্ষী হিসেবে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, এটা তার বান্ধবী মারিয়ার মরদেহ। পরে পুলিশ শাওনকে গ্রেপ্তার করে। শাওন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সেখানে জানান, তিনিসহ মো. রাকিব, মো. সজিব ও মো. আলী আকবর মিলে ভিকটিম মারিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের পানিতে ফেলে রাখেন। পরে রাকিব ও সজিব গ্রেপ্তার হন। তারাও একই কথা বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

    মামলাটি তদন্ত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ট্রাইব্যুনাল ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930