• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    কুড়িগ্রামে ৩৫ হাজার টাকায় সন্তানকে বিক্রি করলেন বাবা 

     dailybangla 
    07th Dec 2024 7:26 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: কুড়িগ্রামের উলিপুরে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে খাদিজাতুল কোবরা (৩দিন) নামের এক শিশুকে ৩৫ হাজার টাকায় দত্তক দিয়েছেন বাবা।

    ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দড়িকিশোরপুর গ্রামে।

    জানা যায়, দড়িকিশোরপুর গ্রামের খিজির উদ্দিন (চৌকিদারের) ছেলে দুলাল মিয়া (৪৪) এর মুখের মাড়ি পচনে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি না হলে রংপুর কসির উদ্দিন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশন সম্পন্ন করেন।

    প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর তার অবস্থার উন্নতি হয়। সে এখন পক্ষাঘাতগ্রস্ত। নিজের সহায় সম্বল যা ছিল সব শেষ হয়েছে চিকিৎসার ব্যয়ে। উপায়ান্তর না দেখে সর্বশেষে নিজের ৩ দিন বয়সের শিশু সন্তানকে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে ৩৫ হাজার টাকায় দত্তক দিয়েছেন তিনি।
    এলাকাবাসীর সহায়তায় স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের মাধ্যমে উপজেলার বাকরের হাট নিজাই খামার এলাকায় এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয়।

    শিশুটির বাবা দুলাল মিয়া চায়ের দোকানে মেসিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। মা শাহিমা বেগম (৩২) অন্যের বাড়িতে ও জমিতে দিনমজুর হিসেবে কাজ করে থাকেন।

    শিশুটির মা শাহিমা বেগম বলেন, স্বামীর চিকিৎসাজনিত কারণে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ঋণ করেছি। এছাড়াও আরও অনেক টাকার অভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিল না, ঋণও পরিশোধ করতে পারছি না। এদিকে স্বামীর অসুস্থতার কারণে আয়-রোজগারও বন্ধ হয়েছে। আমার ভিটেমাটি ছাড়া কিছুই নেই।

    তিনি আরও বলেন, আমার ৬ ছেলে মেয়েসহ পরিবারের সদস্য ৮ জন। এর মধ্যে বড় মেয়ের তিন বছর আগে বিয়ে দিয়েছি। এছাড়া দোলেনা খাতুন (৮ম শ্রেণি), শাকিল মিয়া (৩য় শ্রেণি) ও রমজান আলী নূরানী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছেন। এখন বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছি না। তাদের খাবার কিনতে পারছি না। চিকিৎসার টাকার জন্য ছোট মেয়ে খাদিজাতুল কোবরাকে এক নিঃসন্তান পরিবারের কাছে দত্তক দিয়েছি। বিনিময়ে তারা স্বামীর চিকিৎসার জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়েছে। তাই চিকিৎসাও একটু এগোতে পারছি।

    শাহিমা বেগম বলেন, মেয়ের জন্য কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কী করব, আমার স্বামীর চিকিৎসার দরকার। তিনি অসুস্থতার জন্য কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। তিনি সুস্থ থাকলে আমাদের খাওয়া-পরা চালাতে পারবেন। তাই বাধ্য হয়ে মেয়েটাকে দত্তক করে দিয়েছি।

    এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুলাল মিয়ার চিকিৎসার জন্য এলাকাবাসী চাঁদা উঠিয়ে কিছু টাকা দিয়েছেন। আরও টাকার প্রয়োজন হলে তার ছোট মেয়েকে দত্তক হিসেবে দেন। তার বিনিময়ে ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে চিকিৎসা চালান। এখন তার চলার মত কোনো আয় রোজগার নেই। দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন বলে জানান তারা।

    থেতরাই ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য সিদ্দিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দিন মজুর দুলাল মিয়া অসুস্থ হলে তার অপারেশনের জন্য অনেক টাকার দরকার ছিল। কিছু টাকা এলাকাবাসী চাঁদা করে উঠিয়ে দিয়েছে। সে টাকা পর্যাপ্ত না হওয়ায় তার ছোট মেয়েকে দত্তক হিসেবে দিয়ে তার বিনিময়ে কিছু টাকা দেন। সে টাকা দিয়ে চিকিৎসা চালান।

    উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারটির কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসন পরিবারটির পাশে থাকবে।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    January 2025
    M T W T F S S
     12345
    6789101112
    13141516171819
    20212223242526
    2728293031