কুরআনের দৃষ্টিতে অভিবাসন: শ্রম, সততা ও মানবিক মর্যাদা
বিআলো ডেস্ক: জীবিকার প্রয়োজনে অভিবাসন আজ বৈশ্বিক বাস্তবতা। কুরআনের আলোকে এই অভিবাসন শুধু অর্থনৈতিক প্রয়াস নয়, বরং দায়িত্ব, সততা ও মানবিক পরীক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
বিশ্বজুড়ে অভিবাসন এখন আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। জাতিসংঘ ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশে প্রবাসীরা পরিবার ও জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম ভরসা।
কুরআনে অভিবাসনের অনন্য উদাহরণ পাওয়া যায় হজরত মূসা (আ.)-এর জীবনে। সূরা কাসাসে বর্ণিত তাঁর মাদায়েন যাত্রা অভিবাসনের এক আদর্শ চিত্র তুলে ধরে। অজানা গন্তব্যে যাত্রার সময় তাঁর কণ্ঠে ছিল আল্লাহর ওপর ভরসা ও সঠিক পথের দোয়া।
মাদায়েনে তিনি দুজন নারীর পশুকে পানি পান করিয়ে শ্রমের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তাঁদের পিতার প্রস্তাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পান। একজন কন্যার পরামর্শ, ‘শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত শ্রমিকই উত্তম’- আজও অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য চিরন্তন নীতিমালা।
ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রম লজ্জার নয়, বরং সম্মানের। দক্ষতা ও আমানতদারিতা অভিবাসীকে নিরাপদ ও গ্রহণযোগ্য করে তোলে। একই সঙ্গে নিয়োগদাতা রাষ্ট্রের দায়িত্ব শ্রমিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
অভিবাসন কেবল জীবিকার সন্ধান নয়; এটি চরিত্র, সততা ও দায়িত্ববোধের পরীক্ষা। কুরআনের শিক্ষা অনুযায়ী, সেই শ্রমই কল্যাণ বয়ে আনে, যা শক্তি ও বিশ্বস্ততার সমন্বয়ে সম্পন্ন হয়।
বিআলো/শিলি



