কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীর হাসনাবাদ এলাকায় তীরে থাকা এমভি জাহিদ-৮ নামের একটি লঞ্চ ছিনতাইয়ের ঘটনায় এখনো দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় কোনো মামলা হয়নি। লঞ্চের ম্যানেজার শাহ আলম গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় শুধু একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে এমভি জাহিদ লঞ্চের মালিক আশরাফুল আলম জাহিদ বলেন, রবিবার মামলা দায়ের করার বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মাজাহার সুমন তাদেরকে থানায় যেতে বলেছেন। তিনি বলেন, এই ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এই ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। তারা মূলত শুভাঢ্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনের লোকজন।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ অক্টোবর বিকাল ৫টার দিকে এমভি জাহিদ-৮ লঞ্চ বুড়িগঙ্গার তীরে হাসনাবাদের রিপন ডকইয়ার্ডে রাখা ছিল। সেখানে বিবাদী মিনজু ঢালী ও তার তিন ছেলে রনি, সনি ও বাবুসহ আরো অজ্ঞাতনামা লোকজন জাহাজের ভিতরে প্রবেশ করে। এরপর চাঁদার টাকার জন্য কোম্পানির মালিক আশরাফুল আলম জাহিদের খোঁজ করে।
তাকে না পেয়ে তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পরদিন ২৩ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে ডকইয়ার্ডে থাকা লঞ্চের স্টাফদের মারপিট করে। এরপর দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এমভি জাহিদ-৮ লঞ্চ জোরপূর্বক চালিয়ে নিয়ে যায়। লঞ্চটি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পারগেন্ডারিয়া ইকবাল চেয়াম্যানের ডকইয়ার্ডের সামনে ভিড়িয়ে রাখে।
বিবাদীরা লঞ্চের কর্মচারী বাবুল ড্রাইভার, মিজান ড্রাইভার, জামাল শুকানিদেরকে মারপিট করে মারাত্মক আহত করে এবং ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না দিলে লঞ্চের যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করবে বলে জানায়।
বিআলো/তুরাগ