• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক বৈষম্য কমে এসেছে: ভূমিমন্ত্রী 

     dailybangla 
    29th Jun 2024 9:54 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর আর্থ-সামাজিক বৈষম্য কমে এসেছে। গত শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তন প্রাঙ্গণে ঐতিহাসিক ১৬৯তম সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম আয়োজিত এক শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

    বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিয়াউর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের ইন্দিরা
    গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী ও ভারতের সাঁওতাল পরগনা ফিল্ম অ্যান্ড আর্ট ইনস্টিটিউটের পরিচালক ব্লেস ইমানুয়েল ট্রুডো।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি হিংগু মুরমু। অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আগত সাঁওতাল কম্যুনিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের সংবিধানেই বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিটি জাতীয় নীতিমালায় দেশের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

    তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘জাল যার জলা তার’ নীতিকে সামনে রেখে আমরা প্রকৃত মৎস্যজীবীদের জলমহাল ইজারার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তা জলমহাল নীতিমালায় সংযুক্ত করার ব্যাপারে চিন্তা করছি। এছাড়া সমতল ভূমিতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিক সমাজের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবির আবেদন যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর উপস্থাপন করা হবে।

    ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কথা উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, তাঁর রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার ঘটনা বিশ্বে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর জন্য এক মর্যাদাকর অধ্যায়। ১৮৫৫ সালে সাঁওতাল বিদ্রোহ ভারতে উপনিবেশ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে এবং ভারতবর্ষের জাতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে অনুপ্রাণিত করেছিল।

    ভূমিমন্ত্রী আরো বলেন, সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য দেশের সকল নৃগোষ্ঠীভুক্ত নাগরিকের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন।

    এরআগে রমনার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে পৌঁছালে ভূমিমন্ত্রীকে ঐতিহ্যবাহী সাঁওতাল নৃত্যের মাধ্যমে অভিবাদন জানানো হয়।

    এরপর ভূমিমন্ত্রী সাঁওতাল বিদ্রোহীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে স্থাপিত এক অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের স্মরণে এবং সাঁওতাল বিদ্রোহে আত্মোৎসর্গকারী বীরদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর অনুষ্ঠান শুরু হয়।

    উল্লেখ্য, আগামী ৩০ জুন সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৯তম বার্ষিকী। ১৮৫৫-৫৬ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ভগনাডিহি গ্রামে দুই ভাই বীর সিধু মুরমু ও কানু মুরমুর নেতৃত্বে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে এ বিদ্রোহ হয়েছিল। ইতিহাসে এটি সাঁওতালি হুল্ বা সাঁওতাল বিদ্রোহ নামে পরিচিত।

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    December 2024
    M T W T F S S
     1
    2345678
    9101112131415
    16171819202122
    23242526272829
    3031