• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ
    • যোগাযোগ
    • অভিযোগ
    • ই-পেপার

    খেলাপি ঋণ ৬ লাখ কোটি: বাংলাদেশ ব্যাংক 

     dailybangla 
    08th Jan 2025 8:51 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

    বিআলো ডেস্ক: ‘আগে খেলাপি ঋণের তথ্য লুকানো হতো। এখন আমরা না লুকিয়ে সব তথ্য প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করছি। এখন বলা হচ্ছে, খেলাপি ঋণ চার লাখ কোটি টাকা বা তার চেয়ে বেশি। পুরো তথ্য সামনে এলে এই পরিমাণ ছয় লাখ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে। এই মুহূর্তে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর কোনো চিন্তা আমাদের নেই। ব্যাংকগুলোতে তদন্ত শেষ হলে খেলাপি ঋণ কমানোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ সম্পর্কে জানা যাবে।’

    মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।

    তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণের বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক রুলস ফলো করার চেষ্টা করছি। খেলাপি ঋণ বাড়ার এটাও একটা কারণ। তথ্য যা-ই হোক এখন আমরা সবই প্রকাশ করে দিচ্ছি। ’

    মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা এরই মধ্যে একাধিকবার নীতি সুদহার বাড়িয়েছি। আশা করছি জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। না এলে হয়তো আবারও নীতি সুদহার বাড়ানো হতে পারে। তবে এ বিষয়টিতে ব্যবসায়ীরা মোটেই খুশি নন। কারণ ব্যাংকঋণের জন্য তাদের অতিরিক্ত সুদ গুনতে হয়। বিনিয়োগেও ধীরগতি নেমে আসে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি অন্য সংস্থাগুলোকে ঠিকমতো কাজ করা প্রয়োজন। কারণ বিনিয়োগ কমার জন্য শুধু সুদের হার এককভাবে দায়ী নয়। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জ্বালানি সরবরাহ, যোগাযোগব্যবস্থাসহ আরো অনেক কিছু বিনিয়োগ বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক প্রচেষ্টায় মূল্যস্ফীতি পুরোপুরিভাবে কমানো সম্ভব নয়।’

    গত পাঁচ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন, ব্যাংকিং টাস্কফোর্স গঠন, ডলার বাজার স্থিতিশীল করা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ অন্যান্য বিষয়ে বহু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে। এর মাধ্যমে কিছু সুফল পাওয়া গেছে। আবার কিছু ফলাফল আসতে আরো সময় লাগবে। কিন্তু আর্থিক খাতে এখনো পুরোপুরি স্থিতিশীলতা ফিরে আসেনি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক খুব বেশি খুশি নয়। তবে আর্থিক ভীতি কেটে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র বলেন, ‘২০২৫ সালের শেষ নাগাদ কোন ব্যাংকের মাধ্যমে কত টাকা কোন দেশে পাচার হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে জানা যাবে। পাচারের টাকা ফেরত আনা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। নির্ধারিত সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। নিরাপত্তার স্বার্থেই তারা এই বিষয়গুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে না।’

    প্রসঙ্গত, বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি তলানিতে নেমেছে। গত নভেম্বর মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৬৬ শতাংশ। এই প্রবৃদ্ধি গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেনামি-জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ বিতরণ কমে আসা, দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত ও পর্ষদে পরিবর্তন হয়েছে এমন ১১টি ব্যাংকের নতুন ঋণ প্রদান বন্ধ থাকায় এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এই ব্যাংকগুলো অবশ্য আমানতকারীদের টাকার চাহিদা মেটাতে বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছে।

    বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কমে আসায় অনেক ব্যাংক সরকারি ট্রেজারি বিল ও বন্ডে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এতে ঋণের চেয়ে বেশি মুনাফা মিলছে। কারণ ঋণ দিলে খেলাপি হওয়ার ঝুঁকি থাকে আর বিল ও বন্ডে মুনাফা নিশ্চিত হয়। ফলে বিদায়ি ২০২৪ সালের কিছু ব্যাংকের পরিচালন মুনাফায় অনেক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

    বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি ৭.৬৬ শতাংশ হয়েছিল, যা ২০২১ সালের মে মাসের পর সর্বনিম্ন। ওই বছরের মে মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭.৫৫ শতাংশ। গত নভেম্বরে অর্জিত প্রবৃদ্ধি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে নিচে রয়েছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে জুলাই-ডিসেম্বরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৯.৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    January 2025
    M T W T F S S
     12345
    6789101112
    13141516171819
    20212223242526
    2728293031