গণমাধ্যমে হামলা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: প্রধান উপদেষ্টা
বিআলো ডেস্ক: স্বাধীন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর যেকোনো হামলাকে গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাম্প্রতিক সহিংসতা ও সংবাদমাধ্যমে হামলার ঘটনায় সরকার দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই সংকটময় সময়ে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর সহিংস কর্মকাণ্ড দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না।
বিবৃতিতে সহিংসতা, ভীতি প্রদর্শন, অগ্নিসংযোগ ও জানমাল ধ্বংসের ঘটনায় দ্ব্যর্থহীন নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, নতুন বাংলাদেশে এ ধরনের অপরাধের কোনো স্থান নেই। এ বিষয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের পাশে সরকার
সংবাদমাধ্যমের ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রসঙ্গে সরকার জানিয়েছে, দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও নিউ এজ-এর সাংবাদিকদের পাশে রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সাংবাদিকদের ওপর হামলাকে ‘সত্যের ওপর হামলা’ আখ্যা দিয়ে পূর্ণ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ
প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে হামলার ঘটনায় পত্রিকা দুটির সম্পাদক-মতিউর রহমান ও মাহফুজ আনামের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি হামলার ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন গণমাধ্যম ও দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার জন্য মারাত্মক হুমকি।
টেলিফোনালাপে তিনি সম্পাদকদের ও সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মীদের পূর্ণ নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। খুব শিগগিরই সরাসরি সাক্ষাৎ করার কথাও জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান
ময়মনসিংহে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর নিন্দা জানিয়ে সরকার বলেছে, ধর্মীয় বা যে কোনো ধরনের সহিংসতার স্থান নতুন বাংলাদেশে নেই। এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
বিবৃতির শেষাংশে সরকার সকল নাগরিককে সহিংসতা, উসকানি ও ঘৃণা প্রত্যাখ্যান করে শান্তি, সংযম ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: বাসস
বিআলো/শিলি



