গাজায় বাড়তি ত্রাণেও পূরণ হচ্ছে না খাদ্যের চাহিদা: ডব্লিউএফপি
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর গাজায় খাদ্য সহায়তার পরিমাণ কিছুটা বাড়লেও তা এখনো বিপুল চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, শীতকালীন বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিপন্ন মানুষের খাদ্যসংকট আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির পর পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সেখানে খাদ্য সরবরাহ এখনো প্রয়োজনের তুলনায় কম- এমন তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। সংস্থার মুখপাত্র মার্টিন পেনা বলেন, পরিবারগুলোর স্বাস্থ্য ও জীবিকা পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা এখন অত্যাবশ্যক।
ডব্লিউএফপি জানায়, এখনো লাখ লাখ মানুষ জরুরি খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। একটি বৈশ্বিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আগস্টে জানিয়েছিল, গাজার কিছু এলাকায় অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ সরাসরি দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে দিন কাটাচ্ছে।
অন্যদিকে ভারি বৃষ্টিপাতে অনেক পরিবারের সংগ্রহ করে রাখা খাদ্যসামগ্রী নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানান ডব্লিউএফপির জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র আবির ইত্তেফা। তিনি বলেন, শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে এসব দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
দুই বছরের বিধ্বংসী সংঘাতের পর ১০ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর থেকে ডব্লিউএফপি প্রায় ৪০ হাজার টন খাদ্য গাজায় পাঠালেও চলতি মাসের শুরুতে লজিস্টিক জটিলতায় তাদের লক্ষ্য পূরণের মাত্র ৩০ শতাংশ বিতরণ সম্ভব হয়েছে। ১৬ লাখ বঞ্চিত মানুষের মধ্যে খাদ্য পৌঁছেছে মাত্র ৫ লাখ ৩০ হাজার জনের কাছে।
তবে সংস্থাটি আশা করছে, সাম্প্রতিক কিছু অগ্রগতির ফলে আগামী সপ্তাহগুলোতে বিতরণ কার্যক্রম আরও সুশৃঙ্খল হবে। খবর: রয়টার্স
বিআলো/শিলি



