ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ভাঙলো ইনানীর নৌবাহিনী জেটি
চঞ্চল দাশগুপ্ত, কক্সবাজার: বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫শ’ ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড় দানা। তবে এটি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত না করলেও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ঝড়ের সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফল’ হতে পারে। ঢেউয়ের উচ্চতা হতে পারে সর্বোচ্চ ১৪ ফুটেরও বেশি বলে জানানো হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানা শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার কারণে সামান্য প্রভাব পড়ছে কক্সবাজার জেলাতেও। এরই মধ্যে ক্ষতির আশঙ্কা বাড়িয়ে সাগরের জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে বার্জের ধাক্কায় ইনানী সৈকতের নৌ- বাহিনীর জেটিটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) গভীর রাতে ইনানী সমুদ্র সৈকতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর হোসাইন।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে জোয়ারের পানির তোড়ে বার্জের ধাক্কায় ইনানী সৈকতে নৌ-বাহিনীর জেটিটি ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এখান থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচলের কথা ছিল।
স্থানীয় জেলে বলেন, রাতে সাগর খুব উত্তাল ছিল। এসময় জেটিতে থাকা বাজটি বারবার জেটিতে আঘাত করছিল। হঠাৎ একটা বিকট শব্দ শুনা যায়। পরে দেখি জেটি দুই খণ্ডিত হয়ে গেছে।
জানা যায়, ২৬ দেশের নৌ-বাহিনী ইনানীতে ভিড়া ও নৌ-মহড়ার কথা বলে সাগরকে দ্বিখণ্ডিত করে জেটি স্থাপন করা হয়েছিল। ২০২৩ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেটিটি উদ্বোধন করেছিলেন। তখন সাংবাদিকদের জানানো হয়েছিল উদ্বোধনের পর ওই জেটি সরিয়ে নেয়া হবে। এর আগে ২০২২ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেছিল জেটিটি অপসারণের জন্য। ফোরাম সভাপতি আনম হেলাল উদ্দিন জানান, আদালতের রুল জারির পরেও জেটি অপসারণ করা হয়নি।
বিআলো/তুরাগ