ঘূর্ণিঝড় মিলটনে ফ্লোরিডায় মৃত্যু বেড়ে ১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মেক্সিকো উপকূল থেকে অগ্রসর হয়ে হারিকেন মিল্টন ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়েছে। এর প্রভাবে সৃষ্ট টর্নেডো, বন্যা এবং ঝড়ের কবলে পড়ে অঙ্গরাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট। নদীগুলোতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে পানি। খবর বিবিসি’র।
এর আগে স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ক্যাটাগরি-৩ হারিকেন হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ (১৯৫ কিমি) মাইল বেগে ঝড়টি আছড়ে পড়ে বলে মার্কিন জাতীয় হারিকেন সেন্টার জানিয়েছে। এরপর রাত ১১টার মধ্যে বাতাসের গতিবেগ কমে দাঁড়ায় প্রতি ঘণ্টায় ১০৫ মাইল এবং মিল্টন ক্যাটাগরি-২ হারিকেনে পরিণত হয়।
ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার্সবার্গে শক্তিশালী ঝড়ো হাওয়ায় ক্রেন ভেঙে পড়েছে একটি বাণিজ্যিক ভবনে। এতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভবনটিতে থাকা বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। তবে এতে কেউ হতাহত হননি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
এর আগে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের ইতিহাস গড়ে শহরটি। তলিয়ে যায় টাম্পা বে এলাকা। বেশ কয়েকটি শহরে অনেক বাড়িঘরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
হারিকেনটি প্রথমে ক্যাটাগরি ৩ থাকা অবস্থায় আঘাত হানলেও পরে রূপান্তরিত হয় ক্যাটাগরি পাঁচে। এদিকে অরল্যান্ডো এবং অরেঞ্জ কাউন্টিতে বন্যার হাঁটু পানির মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে যেতে সহযোগিতা করছে। এছাড়া কেউ কোথাও আটকে আছে কিনা তা খুঁজে দেখছে। বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে ভূমিধসও দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে ৩০ লাখের বেশি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট বিদ্যুতবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আরও বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৪ হাজারের বেশি মানুষকে।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তার জানিয়েছে, ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে ক্যাটাগরি ১-এ রূপ নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
মিল্টনের প্রভাবে কমপক্ষে ১৯টি টর্নেডোর জন্ম হয়েছে। ফ্লোরিডার পূর্ব উপকূলে ফোর্ট পিয়ার্সে টর্নেডোর পরে একাধিক প্রাণহানির খবরও পাওয়া গেছে। সেন্ট লুসি কাউন্টি শেরিফ কিথ পিয়ারসনের বরাত দিয়ে এবিসি নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি। টর্নেডোর কারণে প্রায় ১২৫টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
মাত্র সপ্তাহ দুয়েক আগেই ফ্লোরিডায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে হারিকেন ‘হেলেন’। ২০০৫ সালে আঘাত হানা হারিকেন ‘ক্যাটরিনা’র পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঝড়। ‘হেলেন’র প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
বিআলো/শিলি