চলচ্চিত্র কিংবদন্তি প্রবীর মিত্রের বিদায় আজিমপুর কবরস্থানে
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র ৬ জানুয়ারি চিরবিদায় নিচ্ছেন। তার মরদেহ আজ ৬ জানুয়ারি সকাল ১২টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)-তে আনা হবে, যেখানে সহকর্মী, ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীরা তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন।
জানাজা ও দাফন কার্যক্রম:
প্রবীর মিত্রের মরদেহ বিএফডিসিতে আনার পর বাদ জোহর সেখানে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ তেজগাঁওয়ের চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে দ্বিতীয় জানাজার জন্য। জানাজা শেষে সর্বশেষ তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। মুসলিম ধর্মীয় রীতিতে তার দাফন সম্পন্ন হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
প্রবীর মিত্র ‘এক জীবন্ত কিংবদন্তি’:
প্রবীর মিত্র ১৯৪০ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকার সম্ভ্রান্ত এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল মঞ্চ থেকে। ১৯৭০ সালে ঋত্বিক ঘটকের নির্দেশনায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘জলছবি’ দিয়ে তার বড়পর্দায় অভিষেক ঘটে। এরপর তিনি একের পর এক সফল চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘সীমারেখা’, ‘লাঠিয়াল’, এবং ‘মায়া মৃগ’। তার অভিনীত চরিত্রগুলো সাধারণ মানুষের জীবন সংগ্রাম এবং মানবিক অনুভূতিগুলো নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। চার দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে তিনি ৩০০-এর বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
শোকের ছায়া:
তার মৃত্যুতে শোকাহত চলচ্চিত্র অঙ্গন। প্রবীর মিত্রের সহকর্মীরা তার সম্পর্কে বলেছেন, “তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের একজন পথিকৃৎ। তার অভিনয়ের প্রতিভা ও সরল জীবনধারা তাকে সকলের ভালোবাসার পাত্রে পরিণত করেছিল।” বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে প্রবীর মিত্রের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তার প্রয়াণে দেশ হারাল এক গুণী অভিনেতাকে।
বিআলো/তুরাগ