চাঁদপুরে নতুন খাবারের আকর্ষণ ‘কাচ্চি ডাইন’- গ্রাহকদের ভিড় অব্যাহত
সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী, চাঁদপুর: চাঁদপুরে নতুন রেস্টুরেন্ট ‘কাচ্চি ডাইন’ উদ্বোধনের পর থেকেই শহরের খাদ্যপ্রেমীদের কাছে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। মানসম্মত খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও সুলভ মূল্যের সমন্বয়ে অল্প সময়েই এটি নগরবাসীর আস্থার জায়গা করে নিয়েছে।
স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনে সমৃদ্ধ তাদের কাচ্চি বিরিয়ানি ইতোমধ্যেই শহরজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। প্রতিদিনই বিভিন্ন বয়স ও পেশার মানুষের ভিড়ে সরগরম থাকে রেস্টুরেন্টটি। ব্যবহৃত উপকরণের মান, গোছানো পরিবেশ এবং সার্বিক পরিচ্ছন্নতা গ্রাহকদের সন্তুষ্টি আরও বাড়িয়েছে। পরিবারিক আড্ডা, বন্ধুমহল কিংবা অফিসের খাওয়াদাওয়া—সব ক্ষেত্রেই এটি এখন জনপ্রিয় গন্তব্য।
গ্রাহকদের মতে, কাচ্চির হালকা মশলার সুবাস, নরম মাংস ও দমে রাঁধা বাসমতী চালের মিশ্রণ ‘কাচ্চি ডাইনে’র বিশেষত্ব তৈরি করেছে।
স্থানীয় কলেজছাত্র রিফাত হোসেন বলেন, “চাঁদপুরে অনেক জায়গায় কাচ্চি খেয়েছি, কিন্তু কাচ্চি ডাইনের কাচ্চির স্বাদ আলাদা। দাম অনুযায়ী মানও ভালো।”
ব্যবসায়ী ফারহানা লিজা বলেন, “পরিবার নিয়ে কয়েকবার খেয়েছি। স্বাদ, পরিবেশন আর সেবার মান—সব মিলিয়ে সন্তোষজনক।”
রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, নরম মাংস, সুগন্ধি বাসমতী চাল ও ঐতিহ্যবাহী মসলার সমন্বয়ে তৈরি তাদের কাচ্চি প্রতিদিনই গ্রাহকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত রেস্টুরেন্টের সামনে থাকে ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি। চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হওয়ায় নিয়মিত অতিরিক্ত প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও কিছু নতুন খাবার যুক্ত করার পরিকল্পনার কথাও তারা জানান।
চাঁদপুরের খাবার বাজারে প্রতিযোগিতা থাকা সত্ত্বেও ‘কাচ্চি ডাইন’ দ্রুত মানুষের আস্থা অর্জন করেছে। মান বজায় রেখে খাবার পরিবেশনের প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। শহরের অনেকেই বলছেন, চাঁদপুরে মানসম্মত কাচ্চির যে ঘাটতি ছিল, ‘কাচ্চি ডাইন’ তা পূরণ করেছে। ফলে রেস্টুরেন্টটির সামনে প্রতিদিনই ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
চাঁদপুর শাখার উদ্বোধন উপলক্ষে ২৪ নভেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলছে বিশেষ র্যাফেল ড্র অফার। ৫০০ টাকা বা তার বেশি মূল্যের খাবার কিনলে গ্রাহক পাবেন একটি টোকেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে র্যাফেল ড্র।
পুরস্কারসমূহ—
১ম: মোটরসাইকেল
২য়: ফ্রিজ
৩য়: টিভি
৪র্থ: স্মার্টফোন
৫ম: চার্জার ফ্যান
রেস্টুরেন্টের সাফল্যের পেছনে শুধু ভালো খাবার নয়, গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী বৈচিত্র্যময় অভিজ্ঞতা দেওয়াও বড় কারণ। চাঁদপুরের খাদ্যপ্রেমীরা ইতোমধ্যেই এটি তাদের প্রিয় খাবারের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিয়েছেন।



