ছাত্র আন্দলনে বাধা দেওয়া ঢাবির দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন
নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী ঢাবি শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন অনুসারে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে, প্রাথমিকভাবে চার্জশিট গঠনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হবে।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া দুই শিক্ষক হলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চান এবং একই ইনস্টিটিউটের আরেক শিক্ষক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান (লিটু)। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনচেষ্টা, দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং নৈতিক প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকার অভিযোগ রয়েছে।
ড. সায়মা হক জানান, “তথ্যানুসন্ধান কমিটি যথাযথভাবে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য, তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তি মেলায় সিন্ডিকেট ঐক্যমত হয়েছে যে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এজন্য অভিজ্ঞ আইনজীবীদের মতামত গ্রহণ করা হবে যাতে কোনো আইনি ত্রুটি না থাকে।”
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে ঢাবি শিক্ষার্থীরা এই দুই শিক্ষককে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে। এদের মধ্যে অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান চান অতীতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য থাকা অবস্থায় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুদকের তদন্তের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এছাড়া হিজাব ইস্যু ও প্রশাসনিক স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত ছিলেন।
বিআলো/শিলি