ছাত্র-আন্দোলনে নিহত দু’জনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন
মো. নেওয়াজ মোর্শেদ নোমান, জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৪ ও ৫ আগস্ট নিহত শিক্ষার্থী বিশাল সরকার ও অটোচালক মো. মেহেদীর মরদেহ দাফনের ৭৩ ও ৭২ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দুপুরে জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর সরকার পাড়া গ্রাম থেকে বরিশালের মরদেহ ও জয়পুরহাটে তেঘরবিসা, জংলু পাড়ার বাসিন্দা মো. মেহেদীর লাশ আল-হেরা স্কুলের পশ্চিমের কবরস্থান থেকে কবর থেকে তাদের মরদেহ উত্তোলন ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
গত ৪ আগস্ট জয়পুরহাট শহরের জিরো পয়েন্ট পাঁচুর মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন বিশাল। এরপর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়। এ ঘটনায় বিশালের বাবা বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাবেক এমটি সামছুল আলম দুদুসহ ১২৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন হয়। বিশালের লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল বাইন, জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. শাহ আলম শোভন ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্যরা।
এদিকে ৫ আগস্ট সরকার পতনের বিজয় মিছিলে এসে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান অটোচালক মেহেদী। এ ঘটনায় তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার সৃষ্টি বাদী হয়ে ২১৭ জনের নামে মামলা করেন। একইদিন বিকেলে জয়পুরহাটে মো. মেহেদীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রউফ ও সদর থানার ওসি তদন্ত মিজানুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. শাহ আলম শোভন ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যান্যরা।
বিআলো/তুরাগ