জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী কর্মদিবসে দেশব্যাপী কর্মসূচি
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে ন্যায়ভিত্তিক, সামগ্রিক ও জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ যৌথভাবে শনিবার (১৫ নভেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য বিশ্বব্যাপী কর্ম দিবস’ উপলক্ষে দেশের ১২টি জলবায়ু পরিবর্তন-প্রভাবিত স্থানে সমন্বিত কর্মসূচি পালন করেছে।
COP30 চলাকালীন অনুষ্ঠিত এই বৈশ্বিক উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো—ভূমি, জল, ম্যানগ্রোভ, নদী, সমুদ্র, বন, শ্রমজীবী মানুষ এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন-সংগ্রামকে সামনে আনা এবং জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিকে আরও জোরদার করা।
কর্মসূচিতে বলা হয়, আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যেখানে বৈষম্য, কর্পোরেট আধিপত্য, সামরিক দমন-পীড়ন ও পরিবেশ ধ্বংস একত্রে মানুষের ওপর বহুমুখী সংকট তৈরি করেছে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে জলবায়ু বিপর্যয়ের অভিঘাত বিশেষত কৃষ্ণাঙ্গ, আদিবাসী, নারী, শ্রমজীবী এবং নদী উপকূলনির্ভর জনগোষ্ঠীর ওপর তীব্রভাবে প্রভাব ফেলছে।
এই বাস্তবতা সামনে রেখেই বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয় কর্মসূচি:
-
মোংলা: মানববন্ধন
-
বরগুনা সদর: সাইকেল র্যালি
-
তালতলী: মানববন্ধন
-
পাথরঘাটা: নৌ র্যালি ও মানববন্ধন
-
কলাপাড়া: সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধন
-
পেকুয়া: সাইকেল র্যালি
-
কুতুবদিয়া: সাইকেল র্যালি ও পথসভা
-
মহেশখালী, পাবনা, জামালপুর, সিলেট: মানববন্ধন
-
হবিগঞ্জ: নাগরিকবন্ধন
-
ঢাকা: প্রেস ক্লাবে র্যালি ও মানববন্ধন
কর্মসূচিতে দেখা যায়, প্রতিটি স্থানে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, মূল স্লোগান এবং সচেতনতামূলক বার্তার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায়বিচারের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠকরা মনে করান, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কেবল পরিবেশের জন্য নয়, এটি জীবন ও মানবিক মর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম, কর্পোরেট দায়মুক্তি ও সাম্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান, প্রান্তিক মানুষের কণ্ঠস্বর দৃশ্যমান করা এবং ভূমি, জল, ম্যানগ্রোভ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ন্যায্য ও বৈশ্বিক পদক্ষেপের দাবি জানানো।
বিআলো/ইমরান



