জল্লাদ শাহজাহান আর নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধুর খুনি, মানবতাবিরোধী অপরাধীসহ অন্তত ২৬ জনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করে ‘জল্লাদ’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া মো. শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন।
সোমবার ( ২৪ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যাথা হলে তাকে ঢাকায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের পরিচালক সফিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত আনা হয়েছে বলে জানান।
শাহজাহান ভূঁইয়ার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি সাভারের হেমায়েতপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
শেরে বাংলা নগর থানার এসআই মশিউর রহমান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে বুকে ব্যথা হলে হেমায়েতপুর থেকে তাকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার শ্বাসকষ্ট ছিল বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মৃত্যর কারণ নির্ণয় করতে ময়নাতদন্ত করা হবে এবং পরে আইনানুযায়ী মরদেহ তার বড়বোন ফিরোজা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় ১৯৯১ সাল থেকে ৩২ বছর জেল খাটা শাহজাহান ভূঁইয়া কারাগার থেকে মুক্তি পান ২০২৩ সালের ১৮ জুন মুক্তি পান।
দীর্ঘ কারাজীবনে বঙ্গবন্ধুর খুনি, মানবতাবিরোধী অপরাধীসসহ ২৬ জনের ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করে আলোচিত হন শাহজাহান; পরিচিতি পান ’জল্লাদ’ শাহজাহান হিসেবে।
নরসিংদীর পলাশ থানার ইছাখালী গ্রামের এই ব্যক্তি ডাকাতি ও হত্যার মামলায় ১৯৯১ সালের ১৭ মে কারাগারে যান। তার সাজা হয়েছিল ৪২ বছর। পরে জল্লাদের ভূমিকা পালনসহ নানা কারণে তার সাজা রেয়াত হয় ১০ বছর ৫ মাস।
সব মিলিয়ে ৩২ বছর পর কারাবাসের পর ২০২৪ সালের ১৮ জুন যখন মুক্তি পান, তখন কারাফটকে তার স্বজনদের কেউ ছিল না।
৪০ বছর বয়সে অবিবাহিত অবস্থায় শাহজাহান কারাগারে গিয়েছিলেন। এরপর ৭৩ বছর বয়সে মুক্তি পাওয়ার কিছুদিন পর বিয়ে করেন।
গত ৩১ মার্চ প্রতারণার অভিযোগে স্ত্রী-শাশুড়িসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। পরদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভালো নেই জানিয়ে দাবি করেন, প্রতারণার শিকার হয়ে হারিয়েছেন সব। কাজ ও থাকার জায়গা চেয়ে সরকারের প্রতি আবেদনও করেন।
বিআলো/শিলি