জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ জামাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এছাড়াও প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, মুসলিম বিশ্বের কূটনীতিকরা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
১১ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ঈদের জামাত শেষ হয় ৮টা ৪০ মিনিটে।
ঈদের প্রধান জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম ও মুয়াজ্জিন ক্বারি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হাইকোর্ট মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রধান ঈদের জামাতে সর্বস্তরের মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।
রাষ্ট্রপতি, তার পরিবারের সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সকাল সাড়ে ৮টায় মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের প্রধান ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে রাষ্ট্রপ্রধান ঈদগাহে মুসল্লিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এছাড়া প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।
এর আগে দুই ঘণ্টা আগে থেকেই দীর্ঘ লাইনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় ঈদের প্রধান জামাতে অংশ নিতে রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা।
পল্টন মোড়, মৎস্য ভবন ও হাইকোর্টের সামনে দিয়ে তিনটি চেকপোস্টের মধ্য দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করেন মুসল্লিরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত দিয়েও দীর্ঘ লাইনে ঈদগাহে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
ঈদ জামাতে প্রবেশের মুখে ছিল র্যাব-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তীক্ষ্ণ নজরদারি। ঈদ জামাতে আসা মুসল্লিদের তিন জায়গায় তল্লাশি করার পরই ঈদগাহে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঈদগাহে ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করেছেন। প্যান্ডেলে বৃষ্টির পানি রোধক সামিয়ানা টানানো হয়েছে। এছাড়া, অনেক মুসল্লি মূল প্যান্ডেলের বাইরে ঈদের জামাত আদায় করেছেন।
ঈদ জামাতে ভিআইপি পুরুষের জন্য ৫টি ও নারীদের জন্য একটি এবং সাধারণ পুরুষদের জন্য বড় আকারের ৬৫টি ও নারীদের জন্য ছোট আকারে ৫০টি মিলিয়ে মোট ১২১টি কাতার করা হয়েছিল।
বিআলো/শিলি