জামালপুরে সদর সার্কেল ও সদর থানার কর্মকর্তাদের স্বীকৃতি
মো.রাকিব হাসান,জামালপুর:জামালপুর জেলার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুনকে জেলার শ্রেষ্ঠ সার্কেল হিসেবে এবং সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাজমুস সাকিবকে জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
জেলার সাতটি উপজেলা থানা, দুইটি পুলিশ ফাঁড়ি এবং ১১টি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নিয়ে জেলা পুলিশের অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সদর সার্কেল ও থানার কর্মকর্তাদের মাদক উদ্ধার, চোরাচালান ও চুরি-ডাকাতি রোধ, মামলা নিষ্পত্তি এবং জনসেবায় অবদানের জন্য ক্রেস্ট ও সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জবৃন্দ, ট্রাফিক ও কোর্ট ইন্সপেক্টররা উপস্থিত ছিলেন।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, “পুরস্কার পাওয়া বড় কথা নয়, বড় কথা হলো জনগণকে আমরা কতটুকু সেবা দিতে পেরেছি। সদর সার্কেল ও থানার আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।” তিনি আরও জানান, সদর ও সরিষাবাড়ি থানার সকল অফিসার ও ফোর্স অক্লান্ত পরিশ্রম করে জামালপুরবাসীর জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করছেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: নাজমুস সাকিব জানান, “শ্রেষ্ঠ ওসি সম্মাননা ক্রেস্টটি থানার সকল সদস্যের সহযোগিতায় অর্জিত হয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বজায় রেখে সব ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনতে সার্বক্ষণিক কাজ চালিয়ে যাব।” তিনি বলেন, চোরাকারবারি ও মাদকসহ একাধিক অপরাধীর মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে, এবং দুস্থদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদানসহ সেবার মান উন্নত করা হয়েছে।
অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ আইসি হিসেবে ১ নং পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোহাম্মদ কামাল পাশা, শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী ও জেলার শ্রেষ্ঠ এসআই হিসেবে সদর থানার এসআই মোঃ শহীদুল ইসলাম, সর্বোচ্চ মামলা নিষ্পত্তিকারী অফিসার হিসেবে সদর থানার এসআই মোঃ সিরাজুল হক, অপহৃত নারী উদ্ধারকারীর জন্য এসআই মুস্তাফিজুর রহমান, শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী এএসআই ইমরুল রশিদ এবং সর্বোচ্চ মোবাইল উদ্ধারকারী এএসআই আবুল মুনছুরকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সদর থানার পুলিশ এখন জনবান্ধব এবং দক্ষ। কোনো সমস্যায় সরাসরি থানায় গেলে দ্রুত সেবা পাওয়া যায়। জামালপুর মডেল থানার এসআই মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “ওয়াহিয়া আল মামুন স্যার ও ওসি নাজমুস সাকিব স্যারের মতো অভিভাবক পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার। তাদের মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ণ পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব।”
জেলা পুলিশের কর্মকর্তা ও স্থানীয় নাগরিকরা একযোগে জানান, সদর সার্কেল ও সদর থানার কর্মকর্তাদের এই অর্জন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্মান নয়, বরং এটি জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনসেবা উন্নয়নের একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।
বিআলো/ইমরান



