জার্মানির শহরে কবুতর নিধনে গণভোট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিষ্ঠায় অতিষ্ঠ হয়ে কবুতর নিধনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন জার্মানির হেসে রাজ্যের লিমবুর্গ আন ডের লাহন শহরের বাসিন্দারা। তারা ৭০০ কবুতর মেরে ফেলার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ভোটের পর এ নিয়ে হইচই শুরু করেছেন প্রাণি অধিকারকর্মীরা। এ পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ভোটাদের রায় বাস্তবায়ন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
খবরে বলা হয়েছে বাসার বারান্দা, খোলা রেস্তোরাঁ, হাটে-মাঠে কবুতরের বিষ্ঠায় অতিষ্ঠ হয়ে গণভোটের আয়োজন করে নগর কর্তৃপক্ষ। এতে মোট ৩৫ শতাংশ ভোটার বা ৭ হাজার ৫৩০ জন বাসিন্দার হ্যাঁ ভোট পড়েছে।
শহরের অধিবাসীরা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন যে, কবুতর বাসার বারান্দা, উন্মুক্ত রেস্তোরাঁয় খাবারের ওপর, বাজার-হাটে, বাড়ির ছাদসহ যেখানে খুশি সেখানে বিষ্ঠা ত্যাগ করছে। এতে বিরক্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
কবুতরের বিষ্ঠা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকায় এর পরিপ্রেক্ষিতে শহর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে গণভোটের আয়োজন করে।
লিমবুর্গ আন ডের লাহন শহরের মেয়র বলেছেন, নাগরিকরা তাদের ভোটাধিকার ব্যবহার করেছে এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই পাখি শিকার করে কমানো উচিত। কিন্তু প্রাণি অধিকারকর্মীরা ৯ জুনের গণভোটের ফলে বিস্ময় প্রকাশ করে বলছেন এটি মৃত্যুদণ্ড। এ নিয়ে তারা আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন।
গত নভেম্বরেও শহরের কাউন্সিল শিকারি দিয়ে কবুতর মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো। বলা হয়েছিলো, একজন শিকারি পাখিগুলোকে ফাঁদে ফেলে পরে সেগুলোকে ছড়ির বাড়ি দিয়ে অচেতন করে ঘাড় মটকে মেরে ফেলবে।
কিন্তু এভাবে পাখি মারার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। প্রাণি অধিকার কর্মীরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে গণভোটের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো।
এদিকে সমালোচকরা বলছেন, কবুতর নিধন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নয়। কারণ, থেকে যাওয়া পাখিদের থেকে আবার বেড়ে যাবে পাখির সংখ্যা। তার চেয়ে বরং পাখির জন্মনিয়ন্ত্রণ করা ভালো।
ফ্রাঙ্কফুর্টের মতো অন্যান্য জার্মান নগরীতে যে পদ্ধতিতে কবুতর নিয়ন্ত্রণ করা হয় তার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা। ওইসব শহরে কবুতরের আসল ডিমকে পলেস্তারার ডিম দিয়ে বদলিয়ে কিংবা ওষুধ দিয়ে পাখিগুলোকে সাময়িকভাবে অনুর্বর করে তাদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়।
বিআলো/শিলি