• যোগাযোগ
  • অভিযোগ
  • সংবাদ দিন
  • ই-পেপার
    • ঢাকা, বাংলাদেশ

    টানা বৃষ্টির কারণে চড়া সবজির বাজার, ভোগান্তিতে ভোক্তারা 

     dailybangla 
    25th Jul 2025 11:43 am  |  অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক: খুলনা অঞ্চলে টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। হঠাৎ করেই চড়া হয়ে উঠেছে সব ধরনের সবজির দাম। ফলে নাভিশ্বাস উঠেছে স্বল্প ও মধ্য আয়ের মানুষের।

    খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে মাঠ-ঘাট ভেসে গেছে, ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত। অতিবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজি চাষিরা। পানির নিচে নষ্ট হয়ে গেছে লাউ, বেগুন, বরবটি, ঢেঁড়স, উচ্ছে, কাঁকরোল, কচুরলতি, কুশি, কাঁচামরিচসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাজারে।

    শুক্রবার (২৫ জুলাই) খুলনার নতুন বাজার, জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার, শেখপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। যেখানে এক সপ্তাহ আগেও একটি লাউ পাওয়া যেত ৪০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি পিস চালকুমড়া কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

    মানভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতিকেজি বরবটি ৮০-৯০ টাকা, উচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫৫-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৭০ টাকা, কচুরলতি ৫০-৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, পটোল ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০-৭০, কচুর মুখি ৫৫-৬০ টাকা, ওল কচু বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়।

    বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, অতিবৃষ্টির প্রভাব থাকলেও ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন। বাড়তি দামে সবজি কিনতে গিয়ে তারা হাঁফিয়ে উঠছেন। নতুন বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী খন্দকার মিজানুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টির আগে ৬০ টাকায় বেগুন কিনেছি। আজ একই বেগুন ১০০ টাকা কেজি। দাম বাড়ানো হচ্ছে বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে।

    একই বাজারে এসেছেন গৃহিণী শিরিন আক্তার। তিনি বলেন, বাজারে ঢুকেই মাথায় হাত। যে হারে সবজির দাম বাড়ছে, তা একজন দিনমজুর বা স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে সামাল দেয়া অসম্ভব।

    একই কথা জানান বেসরকারি চাকরিজীবী মেহেদি হাসান। তিনি বলেন, আমাদের সীমিত আয়ে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। এখন সবজির দামও যদি হাতের বাইরে যায়, তাহলে চলবে কী করে?

    অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা দায় দিচ্ছেন অতিবৃষ্টিকে। জোড়া কলল বাজারের সবজি বিক্রেতা কামাল বলেন, কৃষকের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। যে ফসল উঠত, তা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বাজারে সরবরাহ কম, তাই দাম বেশি। আমরা লাভ করে বিক্রি করছি না।

    আরেক বিক্রেতা তপন বাবু জানান, বৃষ্টির কারণে কৃষকেরা মাঠে ঢুকতেই পারছে না। ফলে বাজারে নতুন সবজি আসছে না। চাহিদা বেশি, কিন্তু জোগান কম।

    বিআলো/শিলি

    এই বিভাগের আরও খবর
     
    Jugantor Logo
    ফজর ৫:০৫
    জোহর ১১:৪৬
    আসর ৪:০৮
    মাগরিব ৫:১১
    ইশা ৬:২৬
    সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১

    আর্কাইভ

    November 2025
    M T W T F S S
     12
    3456789
    10111213141516
    17181920212223
    24252627282930