ট্যাটুর ব্যাখ্যা দিলেন মার্তিনেস
স্পোর্টস ডেস্ক: কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তর কথা বললে অনেকেই লিওনেল মেসির হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার কথাই বলবেন। কেননা ফুটবলকে সর্বোচ্চটুকু নিংড়ে দিয়েও বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরা হচ্ছিল না তার। সেই আজন্ম অপেক্ষা ফুরিয়েছে কাতার বিশ্বকাপে।
তবে মেসির স্বপ্নটা পূরণ নাও হতে পারত। যদি না ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে সেই অতিমানবীয় সেভটা না করতেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। মেসির স্বপ্ন পূরণের বিষয়টা বাদ দিলে নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের সবচেয়ে আইকনিক মুহূর্ত হবে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের অবিশ্বাস্য সেভটা।
৩-৩ সমতায় যখন আর্জেন্টিনা-ফ্রান্সের ম্যাচ টাইব্রেকারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই ১২৩ মিনিটের সময় রান্দেল কোলো মুয়ানির শট কোনো রকমে সেভ করেন অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক। ১২ গজ দূরত্ব থেকে নেওয়া মুয়ানির শটটি দুদিকে দুই পা ছড়িয়ে দিয়ে কল্পনাতীতভাবে আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন তিনি। মুয়ানির শট গিয়ে বাধা পায় মার্তিনেসের বাঁ পায়ে। পরে পেনাল্টি শ্যুট আউটে একটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে মার্তিনেস বনে যান হিরো।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর পায়ের যে জায়গায় বল লাগে সেই জায়গাতেই পরে ট্যাটু আঁকেন মার্তিনেস। সেই ট্যাটু আঁকার ব্যাখ্যা এবার দিয়েছেন তিনি। সতীর্থদের সঙ্গে বাজি ধরার কারণেই ট্যাটু আঁকতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে সেটা যে বাঁ পায়ের কাফ ম্যাসলে হবে তা আগে থেকে মনস্থির করেননি তিনি। অতিমানবীয় সেভের পরেই সেখানে ট্যাটু আঁকতে উদ্বুব্ধ হন তিনি।
ট্যাটু আঁকার বিষয়ে ‘মেন ইন ব্লেজার্স’ পডকাস্টে মার্তিনেস বলেছেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য ছিল। সৌদি আরবের কাছে হারার পর জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে বাজি ধরেছিলাম। বলেছিলাম, যদি বিশ্বকাপ জিতি তাহলে নাম ও জার্সি নম্বর দিয়ে ট্যাটু আঁকব আমরা।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মার্তিনেজের সতীর্থরা বলেন আমরা জানি তুমি কোথায় ট্যাটু করবে। পরে তাদের সেই অনুমান করা বাঁ পায়ের মাংসপেশিতেই বিশ্বকাপের একটা ট্রফি আঁকেন। ট্রফির মাথায় ৩টি তারকা চিহ্ন। বিশ্বকাপ জয়ের সাল দিয়ে তারকা চিহ্নকে চিহ্নিত করাও
হয়েছে।
উল্কি নিয়ে ৩২ বছর বয়সী গোলরক্ষক বলেছেন, ‘যখন আমি সেভটা দিলাম এবং আমরা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হলাম তখন তারা (সতীর্থরা) বলল, আমরা জানি তুমি কোন জায়গায় ট্যাটু আঁকবে। যে জায়গা বল আঘাত করেছিল ঠিক সে জায়গাতেই একটা তারকা চিহ্ন বসিয়েছি। ২২ সালের তারকা চিহ্নটি আঘাত প্রাপ্ত জায়গাতেই এঁকে নিয়েছি।’
বিআলো/শিলি