ডিএমপির জনগুরুত্বপূর্ণ থানা শাহবাগ
কামাল চৌধুরী: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ৫০টি থানার মধ্যে শাহবাগ থানা জনগুরুত্বপূর্ণ। এ থানার পুলিশ সদস্যদের সার্বক্ষণিক সতর্কতার মধ্যে থাকতে হয়। ডিএমপির শাহবাগ থানা ৮টি থানা পরিবেষ্টিত। এগুলো হচ্ছে- রমনা, পল্টন, নিউমার্কেট, কলাবাগান, হাতিরঝিল, চকবাজার, লালবাগ ও বংশাল। শাহবাগ থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালিদ মোহাম্মদ মনসুর। তিনি এ থানায় যোগদান করেছেন ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
শাহবাগ থানা এলাকায় রয়েছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়ার সর্ব বৃহৎ শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট ও হাসপাতাল। এছাড়াও জাতীয় প্রেস ক্লাব, জাতীয় জাদুঘর, ভিভিআইপি প্রিজনসেল, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোর্ট, বাংলাদেশ সচিবালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, ওসমানী উদ্যান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, বারডেম হাসপাতাল-২, সাসেজ ট্রেনিং সেন্টার, কর্মজীবী হাসপাতাল, রিপোর্টার ইউনিটি, সাংবাদিক সমাজের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়াসহ নানামুখী গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জাতীয় প্রেস ক্লাব ও সচিবালয়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর সভা সমাবেশ এবং বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অনশন চলতেই থাকে। এসবকে কেন্দ্র করে চলে নানামুখী উত্তেজনা। এতে থাকতে হয় শাহবাগ থানা পুলিশকে কঠোর সতর্কাবস্থায়।
শাহবাগ মোড় ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সংগঠনগুলো ছাড়াও নানামুখী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোনো না কোনো কর্মসূচি পালন করছে। কখনো কখনো চলে নানামুখী সংঘাত সহিংসতা। এসব নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হয়। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমে আসতে হয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থেকে শুরু করে জয়েন্ট পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারকেও। সবসময়ই অনডিউটিতে রাখতে হয় অতিরিক্ত ফোর্স ও কর্মকর্তাকে। বিশেষ করে শাহবাগ মোড়ে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র-জনতার উপস্থিতি।
পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত, শাহবাগ থানা এলাকা রাজনৈতিকভাবে আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এতে শাহবাগ থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে হিমশিম খেতে হবে। তাই এসব সার্বিক বিষয় বিবেচনায় রেখে ডিএমপি কমিশনারসহ পুলিশ হেডকোয়ার্টার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
বিআলো/তুরাগ