ঢাকার উপর চাপ কমাতে অনুমোদিত আবাসন প্রকল্প বৃদ্ধির বিকল্প নেই : ড. মো. সাদী-উজ-জামান
মো. ইব্রাহীম হোসেন: আবাসন খাতের ব্যবসায়ীদের নিয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক আয়োজন করে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। সোমবার (১৩ মে) রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আবাসন ব্যবসায়ীদের পক্ষে বলিষ্ঠ ও তথ্য নির্ভর অতি মূল্যবান সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল্যান্ড ডেভেলপারস এর কো-চেয়ানম্যান ড. মো. সাদী-উজ-জামান।
এ সময়, আবাসন খাতের সংকট নিরসনে জমির নিবন্ধন ব্যয় সহনশীল রাখা, প্রকল্পের অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতা দূরীকরণ, এলাকাভিত্তিক ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর) নির্ধারণের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ, আবাসন খাতের জন্য ব্যাংক ঋণ নিশ্চিত করা সহ আবাসন খাতের অন্যান্য সমস্যাসমূহ তুলে ধরেন নতুনধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ল্যান্ড ডেভেলপারসের কো-চেয়ানম্যান ড. মো. সাদী-উজ-জামান। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি এই যৌক্তিক পরামর্শসমূহ বিশ্লেষণ করে শিগগির পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত ঢাকাকে জনজট ও যানজট মুক্ত করতে হলে ঢাকার আশে-পাশে আবাসন সেক্টরের সুযোগ-সুবিধা সহ অনুমোদিত আবাসন প্রকল্প বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলে জানান ড. মো. সাদী-উজ-জামান।
তিনি বলেন, ঢাকার বাহিরে আবাসন প্রকল্প যদি বৃদ্ধি করা না হয় তাহলে ঢাকায় এ্যাপার্টমেন্টের সংকটে পড়তে হবে গ্রাহককে। ঢাকার শহরের প্লট-ফ্ল্যাটের উপর চাপ কমাতে এবং জনজট-যানজট কমাতে হলে অবশ্যই ঢাকার আশে-পাশে ল্যান্ড প্রজেক্ট বাড়াতে হবে। আর সে জন্য অনুমোদনের পক্রিয়াটি শর্তহীন, সহজ করতে হবে। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ছাড়পত্র ও পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ইআইএ অনুমোদন, ডিটিসিএ কর্তৃক ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক দায়মুক্তির সনদ প্রাপ্তির পক্রিয়া অত্যান্ত জঠিল। অনুমোদনের এই সকল পক্রিয়া সহজ করতে হবে। তাহলেই আবাসন প্রকল্প বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনীতিতে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে এই সেক্টর।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইয়ের রিয়েল এস্টেট এবং হাউজিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক এবং আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ, পরিচালক হাফেজ হাজি হারুন-অর-রশিদ, মো. রাকিবুল আলম দিপু, রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির উপদেষ্টা লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, কমিটির কো-চেয়ারম্যান, সদস্য ও ব্যবসায়ী নেতারা।